ট্রেনের ইঞ্জিনে কেন লেখা থাকে WAG, WAP, WDM? এই সাংকেতিক চিহ্নগুলির মানে জানলে হয়ে যাবেন অবাক

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ট্রেনে সফর করেন নি এমন মানুষ আমাদের দেশে রীতিমতো খুঁজে পাওয়াই মুশকিল। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ ট্রেনে চেপেই পৌঁছে যান নিজেদের গন্তব্যে। পাশাপাশি, দূরপাল্লার যাত্রার ক্ষেত্রেও এটির জুড়ি মেলা ভার। এদিকে, ট্রেনে সফরকালে আমরা ভারতীয় রেলের (Indian Railways) লোকোমোটিভ বা ট্রেন ইঞ্জিনগুলিতে WAG, WAP, WDM, WAM-এর মত সংকেতগুলিকে লিখিত অবস্থায় দেখতে পাই। তবে, এগুলি দেখলেও এহেন সংকেতের সঠিক মানে কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না। পাশাপাশি, এই সংকেতগুলির মধ্যে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও তুলে ধরা হয়। বর্তমান প্ৰতিবেদনে সেই প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপিত করা হল।

মূলত, এই বিশেষ কোডগুলির প্রথম অক্ষরই থাকে “W”। যেটি রেলপথের ট্র্যাকের গেজের বিষয়টি স্পষ্ট করে। যা হল পাঁচ ফুট। পাশাপাশি, দ্বিতীয় অক্ষর “A” এবং “D” থেকে ইঞ্জিনের শক্তির উৎসটিকে বোঝা যায়। অর্থাৎ, “A” মানে হল ইঞ্জিনটি বিদ্যুতের মাধ্যমে চলে। পাশাপাশি “D” মানে হল ইঞ্জিনটি ডিজেলে চলে।

অপরদিকে, তৃতীয় অক্ষর “P”, “G”, “M” এবং “S” থেকে ইঞ্জিনগুলির উদ্দেশ্য বোঝা যায়। অর্থাৎ, “P” মানে হল সেটি একটি যাত্রীবাহী ট্রেন। “G” মানে হল সেটি একটি পণ্যবাহী ট্রেন। পাশাপাশি, “M” মানে হল ট্রেনটি বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও, “S” মানে হল “শান্টিং”।

এমতাবস্থায়, আপনি যদি ট্রেনের ইঞ্জিনে “WAG” লেখা লক্ষ্য করেন, সেক্ষেত্রে আপনাকে বুঝতে হবে যে, ট্রেনটি একটি ওয়াইড গেজ ট্র্যাকে চলে এবং সেটি একটি AC মোটিভ পাওয়ার ইঞ্জিন বিশিষ্ট ট্রেন। যা মূলত মালবহনের কাজে ব্যবহৃত হয়। একইভাবে, যদি আপনি একটি ইঞ্জিনে “WAP” লেখা দেখতে পান, সেক্ষেত্রে বুঝে নিতে হবে যে, ট্রেনটি ওয়াইড গেজ ট্র্যাকে চলে এবং এটিও একটি AC মোটিভ পাওয়ার ইঞ্জিন বিশিষ্ট ট্রেন। তবে, ওই ট্রেনটি যাত্রী পরিবহণে ব্যবহৃত হয়।

8105665060 9b4eeedf2a b

এছাড়াও, কোনো ইঞ্জিনে “WAM” লিখে রাখার অর্থ হল, সেটি ওয়াইড-গেজ ট্র্যাকে চলে। পাশাপাশি, সেটি একটি AC মোটিভ পাওয়ার ইঞ্জিন বিশিষ্ট ট্রেন। যা যাত্রী এবং পণ্য উভয়ই পরিবহণের জন্য ব্যবহৃত হয়। এর পাশাপাশি আপনি যদি কখনও ট্রেনের ইঞ্জিনে “WAS” লেখা দেখতে পান, এটির মানে হল সেটি একটি AC মোটিভ পাওয়ার ইঞ্জিন বিশিষ্ট ট্রেন যা ওয়াইড গেজ ট্র্যাকে চলে। পাশাপাশি, সেটি শান্টিংয়ের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর