বাংলাহান্ট ডেস্ক : প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন ভিন্নধর্মী (Love Jihad) যুবককে। কখনো ভাবেননি যে তাঁকেও পড়তে হবে ধর্মীয় গোঁড়ামির জালে। বিহারের বেগুসরাইয়ের যুবকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন ইন্দোরের মহিলা। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন ভিনধর্মী (Love Jihad) যুবককে। কিন্তু বিয়ের পরেই রূপ পালটে ফেলেন তিনি। মহিলার অভিযোগ, বিয়ের পরেই জোর করে ধর্মান্তরিত হতে বাধ্য করা হয় তাঁকে। এমনকি গোমাংস খাওয়ার জন্যও তাঁকে জোর করা হয় বলে অভিযোগ।
স্বামী শাহবাজের বিরুদ্ধে লাভ জিহাদের (Love Jihad) অভিযোগ স্ত্রী আরতির
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মহম্মদ শাহবাজের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল ইন্দোরের আরতি কুমারীর। বেশ কয়েক বছর প্রেম করার পর বেগুসরাই গিয়েই তিনি বিয়ে করেন ওই যুবককে। কিন্তু বিয়ের পরেই আচমকা ভোলবদল। সূত্রের খবর, বেগুসরাই পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন আরতি। আর্জি জানিয়েছেন তাঁকে যেন শহরে ফেরত পাঠানো হয়।
গোমাংস খাওয়ার জন্য জোরজবরদস্তি: আরতির অভিযোগ, বিয়ের পরেই হঠাৎ করে পালটে যান তাঁর স্বামী। তাঁকে গোমাংস খেতে বাধ্য করা হয়। ধর্ম (Love Jihad) পরিবর্তন করতেও চাপ দেওয়া হতে থাকে বারংবার। এমনকি তিনি আরো অভিযোগ করেছেন, ফোন থেকে হিন্দু দেবদেবীদের ছবি মুছে ফেলতেও জোর দেওয়া হতে থাকে। এখানেই বিষয়টা থেমে থাকেনি। আরতির আরও অভিযোগ, তিনি আপত্তি জানালে তাঁকে মারধোর করেন তাঁর স্বামী শাহবাজ। স্বামীর বিরুদ্ধে ‘লাভ জিহাদ’এ (Love Jihad) যুক্ত থাকার অভিযোগ এনে তাঁকে ইন্দোরে ফেরত পাঠানোর আর্জি জানিয়েছেন আরতি।
আরো পড়ুন : সপ্তাহের শুরুতেই আমূল রদবদল জি বাংলায়, কোন স্লটে আসছে নতুন মেগা ‘দাদামণি’?
কোনো লিখিত অভিযোগ করেননি: আরতি জানান, ফেসবুকে নিজেকে সোনা-রূপোর ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দিয়েছিলেন শাহবাজ। কিন্তু পরে তিনি জানতে পারেন যে সেটাও ভুয়ো। আসলে একটি দোকানে মালা তৈরির কাজ করেন তিনি। স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ (Love Jihad) নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন আরতি। এসপি তাঁকে মহিলা পুলিশের কাছে পাঠান। তবে পুলিশ সূত্রে খবর, শাহবাজের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনেননি তিনি। শুধু আবেদন করেছেন, তাঁকে যেন ইন্দোরে ফেরত পাঠানো হয়।
আরো পড়ুন : ৩-৪ জন মিলে ঘিরে ধরে, চলন্ত ট্রেনে ফের গণধর্ষণ! লাইনে ছুঁড়ে ফেলা হল মহিলাকে
এদিকে শাহবাজের দাবি, আরতির আগের বিয়ে থেকে তিনটি সন্তান রয়েছে। তিনি নাকি পড়াশোনাই জানেন না, তাহলে কোরান পড়তে বলবেন কী! আরতি জানিয়েছেন, বাবা মায়ের অমতে শাহবাজকে বিয়ে করবেন বলে বাড়ি ছেড়েছিলেন তিনি। বাবা মায়ের সঙ্গে তাঁর কোনো যোগাযোগ নেই। বাবা মা ধরেই নিয়েছেন যে তিনি মৃত। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁকে বাড়িতে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা চলছে। একটি মহিলা আশ্রয়কেন্দ্রে আপাতত রয়েছেন আরতি।