বাংলাহান্ট ডেস্ক : স্বামীকে বলেছিলেন ‘বাপের বাড়ি যেতে চান’। সেই মতোই স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে বাসে উঠেছিলেন। কিন্তু না শেষ পর্যন্ত তিনি আর বাপের বাড়ি যান নি। স্বামীকে মাছ রাস্তা দিয়েই বাস থেকে নামিয়ে দিয়ে বছর তিনেকের ছেলের হাত ধরে পালিয়ে গেলেন গৃহবধূ। আর তারপরেই জানা গেল, যার জন্য স্বামীর ঘর ছাড়লেন স্ত্রী, তিনি আদতে ওই গৃহবধূরই ‘মনের মানুষ’। এ যেন এক পরকীয়ার (Extramarital affair) কাহিনী।
ফের অবৈধ সম্পর্কের ঘটনাকে কেন্দ্র করে খবরের শিরোনামে উঠে এলো জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার ধূপগুড়ি। এদিকে, ছোট্ট ছেলেকে নিয়ে বউ পালিয়ে যেতেই রীতিমতো কান্নায় ভেঙে পড়েছেন যুবক। জানা গিয়েছে, ধূপগুড়ি ব্লকের মাগুরমারি এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দেশ বন্ধু পাড়া এলাকার এক যুবক চারবছর আগে শিলিগুড়ির এক যুবতীকে বিয়ে করেন। যুবক দিনমজুরের কাজের পাশাপাশি ভ্যান চালিয়ে সংসার চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
কিন্তু, রোজকার এই জীবনযাত্রার মধ্যেই হঠাৎ করে যেন সবকিছু পাল্টে যেতে থাকে। এদিকে, বাড়িতে স্বামীর অনুপস্থিতিতে অন্য এক যুবকের সাথে ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে গৃহবধূর। ধীরে ধীরে যেন একে অন্যের মনের কাছাকাছি চলে আসেন। এই পরিস্থিতিতে স্বামী বিষয়টি বুঝতে পারতেই দুইজনের মধ্যে ঝামেলার সৃষ্টি হয়। পরিবার সূত্রে খবর, মাঝে মধ্যেই দুইজনের মধ্যে ঝামেলা লেগেই থাকতো।
গৃহবধূর বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার আগের দিনও তাদের মধ্যে তুমুল অশান্তি হয়। এরপরদিন সকালে বাপের বাড়ি চলে যাবে বলে স্বামী ও ছেলেকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় স্ত্রী। এরপর আলিপুরদুয়ার যাওয়ার বাসে উঠে তিনজন। এদিকে বাস ছাড়ার মুহূর্তে বাস থেকে স্বামীকে নামিয়ে দেয় স্ত্রীর। স্বামী বাস থেকে নেমে পড়তেই ছেলেকে নিয়ে চলে যায় স্ত্রীর। যুবকের পরিবারের দাবি, গৃহবধূর খোঁজ করলেও তার কোন হদিশ পাওয়া যায়নি।
বাপের বাড়ি যাওয়ার নাম করে অন্য যুবকের সঙ্গে পগারপার স্ত্রী! কান্নায় ভেঙে পড়লেন স্বামী pic.twitter.com/eGvYD3LdmW
— Bangla Hunt (@BanglaHunt) March 18, 2023
ইতিমধ্যেই, স্ত্রীর চলে যাওয়ার বিষয়ে ধূপগুড়ি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন স্বামী। স্ত্রীর এইভাবে চলে যাওয়ায় কান্নায় ভেঙে পড়েছে স্বামী। তিনদিন ধরে খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে স্ত্রীর অপেক্ষায় কেঁদেই চলছে স্বামী। তবে, শুধু যে স্ত্রীকে হারিয়েছেন এমনটা তো নয়, পুত্রশোকেও একপ্রকার কাতর হয়ে পড়েছেন ধূপগুড়ির ওই যুবক। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করা হচ্ছে।