চোখের সামনে প্রেমিকের বাইকে চেপে পালাল স্ত্রী, অপমানে শ্বশুরবাড়িতে আত্মঘাতী স্বামী

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ প্রায় দু’দশক আগে ভালোবেসে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন সুদেব দে এবং টুম্পা। তাঁদের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে স্বামীকে ছেড়ে অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ায় টুম্পা। এমনকি তাঁর সঙ্গে পালিয়েও যায় কয়েকবার। আর শেষবার স্ত্রী ঘর ছাড়তেই, অপমানে আত্মঘাতী হন সুদেব দে। মহকুমা হাসপাতালে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।

ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানে কালনায়। প্রায় ২০ বছর আগে কালনার বাঘনা পাড়ায় খাসপুর গ্রামের বাসিন্দা টুম্পাকে ভালোবেসে তাঁকেই বিয়ে করেন এলাকার ছেলে সুদেব। তাঁদের বিয়ের পর একটি কন্যা সন্তানও জন্মগ্রহণ করে। চেন্নাইয়ের একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী হওয়ার জন্য, বেশিরভাগ সময়টাই বাইরে থাকতেন সুদেব।

Extra Marital

অভিযোগ উঠেছে, ওই এলাকারই এক যুবকের সঙ্গে ফের ভালবাসার সম্পর্কে জড়ায় টুম্পা। এমনকি বার কয়েক পালিয়েও যায় তাঁর সঙ্গে। এই ঘটনার পর স্ত্রীকে দুবার বুঝিয়ে সুঝিয়ে বাড়িতেও ফিরিয়ে আনেন সুদেব বাবু। বোঝান অনেক করেই, বোঝান ছোট্ট মেয়েটির কথাও। অনেক করে বোঝানোর পর কিছুদিন স্বামীর সঙ্গে সংসার করলেও, টুম্পার মন সেই যুবকের প্রতিই আকৃষ্ট হয়ে থাকে।

ওই যুবককে ভুলতে না পেরে, তাঁর সঙ্গে কাটানো কিছু অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবিও দেখায় নিজের স্বামীকে। এরপর সকালে ওই যুবকের সঙ্গে ঘর ছাড়েন টুম্পা। এই ঘটনায় ভীষণই অপমানিত ও লজ্জিত বোধ করেন সুদেব বাবু। সোমবার রাতে শ্বশুরবাড়িতেই গলা দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে সে।

bbbv

সেইসঙ্গে সুইসাইড লেখেন, ‘এই বাড়ির কেউ বা অন্য কেউ আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী নয়। আমি নিজে থেকেই অপমানে লজ্জায় এই পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছি’।

এবিষয়ে মৃতের মেয়ে সুইটি জানান, ‘কালীপুজোর আগেও একবার মায়ের পালিয়ে যাওয়ার খবর শুনে বাবা চেন্নাই থেকে ছুটে এসে অনেক করে বোঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু মা শুনতে নারাজ হয়, ওই লোকটার সঙ্গেই থাকতে চায়। তারপর মায়ের কথা মতন পোশাক কিনে আসে বাবা। আর মা ওই লোকটার সঙ্গে বাইকে করে পালিয়ে যায় মা। আর তারপর বাবা আত্মহত্যা করেন’।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর