ষষ্ঠ শ্রেণি পাশ পরিচারিকা হলেন সরকারি কর্মী! এবার ইডির র‍্যাডারে অর্পিতার গাড়ির চালকের স্ত্রী

বাংলাহান্ট ডেস্ক : অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়েছে কোটি কোটি টাকার ও সোনার গয়না। তদন্তকারী অফিসারেরা সেই সমস্ত কালো টাকা উদ্ধারের পাশাপাশি জানার চেষ্টা করছেন অর্পিতার নামে থাকা সম্পত্তিরও। সেই তদন্ত করতে গিয়ে এবার ইডি অফিসারেরা জানতে পারলেন যে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে রয়েছে তিনটি সংস্থা। সেই কোম্পানির নথি অনুযায়ী সংস্থার ডিরেক্টর কল্যাণ ধর নামের এক ব্যক্তি।

বিভিন্ন সূত্র মারফত তার ঠিকানা জোগাড় করে বাড়িতে গিয়ে হাজির হলে জানা যায় কল্যাণবাবু একসময় অর্পিতার গাড়ির ড্রাইভার ছিলেন। এর পাশাপাশি জানা যায় বছরখানেক আগে কল্যাণবাবু স্ত্রী গ্রুপ ডি চাকরিও পেয়েছেন। কিন্তু তার এই চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।

স্থানীয় সূত্রের খবর কল্যাণ ধরের স্ত্রীর পড়াশোনা ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত। কিন্তু অদ্ভুতভাবে চাকরিতে যোগদান করার আগে তিনি জোগাড় করেন দ্বাদশ শ্রেণীর উত্তীর্ণ সার্টিফিকেট। এলাকাবাসীর অভিযোগ উনি এই সার্টিফিকেট দেখিয়ে কাজ পেয়েছেন তিনি। এলাকার স্থানীয় সুত্রে আরো খবর কল্যাণবাবু স্ত্রী একসময় নাকি পরিচারিকার কাজ করে সংসার চালাতেন। সেখান থেকেই তার সোজা গ্রুপ ডি চাকরি পাওয়া।

তদন্তকারী অফিসারেরা জানতে পেরেছেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায় এর তিনটি সংস্থার ডিরেক্টর কল্যাণ ধর। যদিও কল্যাণের বক্তব্য তাকে না জানিয়ে এই পদে বসিয়েছেন অর্পিতা। এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না । তবে গোয়েন্দারা তার কাছে কিছু জানতে চাইলে অবশ্যই সাহায্য করবেন বলেও তিনি জানিয়েছেন। কথাবার্তার ফাঁকে কল্যাণবাবু স্বীকার করে নেন তিনি একসময় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের গাড়ি চালাতেন। কিন্তু তাকে তার স্ত্রীর চাকরি পাওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করলেই রীতিমতো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এরপর সোজা মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দেন তিনি।

রাজ্যজুড়ে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পাওয়ার পর এবার গোয়েন্দাদের আতশ কাঁচের নিচে তার গাড়ির ড্রাইভার কল্যাণ ধর ও তার স্ত্রী।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর