ফুলশয্যার আগেই পগারপার বর! স্বামী না ফিরলে আত্মহত্যার হুমকি স্ত্রীয়ের

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এল আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) থেকে। জানা গিয়েছে সেখানে বিয়ের পর স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে এলেও ফুলশয্যার আগেই রীতিমতো “উধাও” হয়ে যান স্বামী। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই বিয়ের প্রায় এক মাস পরেও এখনও ফিরে আসেননি ওই যুবক। এদিকে, স্বামী ফিরে না এলে এবার আত্মহত্যার হুমকি দিচ্ছেন স্ত্রী।

জানা গিয়েছে, জামাইকে মেয়ের বাবা আসবাবপত্র, মোটরবাইক এবং নগদ টাকা দেবেন বলে জানালেও বাড়ি ফিরতে নারাজ ওই যুবক। মূলত আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটার দেওগাঁওয়েতে এই ঘটনাটি ঘটেছে। পাশাপাশি, ওই যুবতীর বাড়ি হল দক্ষিণ দেওগাঁওয়েতে। তিনি জানিয়েছেন, মধ্য দেওগাঁওয়ের ওই যুবকের সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তাঁর।

কিন্তু, ওই যুবকের বাবা আবার পাল্টা জানিয়েছেন, ওই যুবতী তাঁর ছেলের প্রেমিকা থাকলেও তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল। যদিও, কিছুদিন পরই ওই যুবতী তাঁর ছেলেকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন বলেও দাবি করেন তিনি। এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৬ জানুয়ারি ওই যুবতীর মোবাইল থেকে যাবতীয় ছবি ডিলিট করে দেন যুবক।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উত্তেজিত হয়ে যুবতীটি সবার সামনেই কলার ধরে শাসান যুবককে। যার জেরে পরবর্তী কালে সালিশি বৈঠকের করে গত ২৭ জানুয়ারি তাঁদের বিয়ে দেওয়া হয়। তবে, বিয়ে করে বউকে বাড়িতে নিয়ে গেলেও ফুলশয্যার আগেই উধাও হয়ে যান যুবক। এমতাবস্থায়, কিছুদিন শ্বশুরবাড়িতে কাটানোর পর গত শুক্রবার রাতে বাপের বাড়ি ফেরেন ওই যুবতী।

এদিকে, নিজের অধিকার পাওয়ার দাবিতে ওই যুবতী তাঁর শ্বশুরের একটি নির্মীয়মান বাড়িতে গিয়ে স্বামীকে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় তিনি আত্মহত্যা করবেন বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দেন। জানা গিয়েছে, স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বরাও যুবতীর পাশে দাঁড়িয়েছেন। পাশাপাশি, তাঁরা জানিয়েছেন প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হতে পারে।

whatsapp image 2023 02 26 at 2.47.17 pm

যদিও, ওই যুবকের বাবা অভিযোগ জানিয়েছেন যে, তাঁর ছেলের এই বিয়েতে মত ছিল না। বরং ওই যুবতী জোর করে তাঁকে ফাঁসিয়েছে। শুধু তাই নয়, বিয়ের আসরেও স্থানীয় এলাকার বেশ কয়েকজন রীতিমতো হুমকি দিয়ে তাঁর ছেলের কাছে জোর করে সই করিয়ে নিয়েছে বলেও জানান তিনি। এমতাবস্থায়, আপাতত তাঁর ছেলে কোথায় রয়েছে সেই বিষয়টিও তাঁর অজ্ঞাত বলে জানা গিয়েছে।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর