বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্য রাজনীতিতে ফের একবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা সুগায়ক বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। বেশ কিছুদিন ধরেই ফেসবুক পোস্টে নিজের বক্তব্য প্রকাশ করছেন বাবুল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব থেকে অপসারণের পর এই প্রসঙ্গে একাধিক পোস্ট চোখে পড়েছে। যা নিয়ে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে রাজ্য বিজেপিকেও। এমনকি তার পোস্ট সম্পর্কে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ তো এও বলেছেন, “১২ জন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। কেউ তো এমন লেখেননি! কাজের প্রতি আস্থা রাখা উচিত। পার্টির কাজ করছি, বিধায়ক সাংসদ যা হয়েছি, তা পার্টির জন্য।’’
অন্যদিকে তার উত্তরও দিয়েছেন বাবুল। বাবুল গোষ্ঠীর সঙ্গে দিলীপ গোষ্ঠীর সম্পর্ক যে অম্লমধুর তা নতুন করে বলে দেবার কিছু নেই। কিন্তু মন্ত্রিত্ব থেকে সরে আসার পরেই দলের একাংশের বিরুদ্ধে যেভাবে সরব হয়েছেন তিনি, তাতে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন তবে কি রাজনৈতিক সন্ন্যাসের কথা ভাবছেন বাবুল। সাত বছর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। হঠাৎই যেমন তার রাজনীতিতে আগমন, তেমনি আসানসোল থেকে সাংসদ হিসেবে জিতে মন্ত্রিসভা অব্দি পৌঁছানোও বেশ দ্রুতগতিতে।
জানা গিয়েছে, কয়েকদিন ধরে যেভাবে বাদানুবাদ চলছে তাতে দলের শৃঙ্খলা কমিটি হয়তো বাবুলকে চিঠিও পাঠাতে পারে। নেপথ্যে অবশ্যই রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। এ পরিস্থিতিতে এখন কি করবেন বাবুল? সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। যদিও তার হিতৈষী সূত্রে জানা গিয়েছে রাজনীতি ছাড়ার প্রসঙ্গে সঠিকভাবে ‘হ্যাঁ’ ‘না’ কোনটাই বলেননি আসানসোলের সংসদ। তবে তিনি একথা জানিয়েছেন, কিছুদিনের জন্য রাজনীতি থেকে ছুটি নিতে চান তিনি।
এ প্রসঙ্গে উঠে আসছে আরেকটি তথ্য। শোনা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই নাকি বাবুলের সঙ্গে দূরত্ব কমতে শুরু করেছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির (Mamata Banerjee)। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দেবশ্রী চৌধুরী এবং বাবুল সুপ্রিয়র অপসারণের কথা শোনার পরেই মমতা বলেছিলেন, “ওরা আবার কি দোষ করল!” এ কথা শোনার পর ঘনিষ্ঠমহলে যথেষ্ট সন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন বাবুল। সেই সূত্র ধরেই, নতুন জল্পনা সামনে আসছে, তবে কি এবার পদ্ম ফুল ছেড়ে ঘাসফুলের গান ধরবেন তিনি? যদিও এ প্রশ্নের উত্তর দেবে সময়ই।
কিন্তু আপাতত তার ‘প্রপার নাউন’ এবং অন্যান্য পোস্টের কারণে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে ফাটল যে ক্রমশ চওড়া হচ্ছে বলাই বাহুল্য। নিজের টুইটার বায়োতেও তাৎপর্যপূর্ণভাবে এক্স মিনিস্টার কথাটি উল্লেখ করেছেন বাবুল। যার জেরে জল্পনা আরও বাড়ছে। অনেকে বলছেন, রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নিলে সাংসদ পদ ছাড়তেও দ্বিধা করবেন না তিনি।