বেটিং অ্যাপ কেলেঙ্কারিতে ফেঁসে মিমি-অঙ্কুশ, ইডি নামক শনিতে প্রভাব পড়বে ‘রক্তবীজ ২’-এর ব্যবসায়?

Published on:

Published on:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : এবার টলিউডে পুজো রিলিজের তালিকায় অন্যতম নাম ‘রক্তবীজ ২’। বছর দুই আগে মুক্তি পাওয়া’ ‘রক্তবীজ’ এর সিক্যুয়েল এই ছবি। আবির চট্টোপাধ্যায় এবং মিমি চক্রবর্তীর অনস্ক্রিন রসায়ন দেখার জন্য উন্মাদনা তুঙ্গে দর্শক মহলে। কিন্তু ছবি মুক্তির ঠিক মুখেই বিপদের খাঁড়া নেমে এসেছে কলাকুশলীদের উপরে। বেটিং অ্যাপ কেলেঙ্কারিতে (Enforcement Directorate) নাম জড়িয়েছে এই ছবিরই দুই নায়ক নায়িকা অঙ্কুশ হাজরা এবং মিমি চক্রবর্তীর। দুই অভিনেতা অভিনেত্রীই পেয়েছেন ইডির সমন। ছবি মুক্তির ঠিক আগে এই ঘটনায় কোনও প্রভাব পড়বে না তো বক্স অফিসে?

মিমি-অঙ্কুশের জন্য রক্তবীজ ২ (Enforcement Directorate) তে প্রভাব পড়বে?

একই ছবির দু দুজন তারকা তদন্তকারী সংস্থার (Enforcement Directorate) জেরার মুখে। এ নিয়ে বিতর্ক-চর্চাও কম হচ্ছে না। ছবির ব্যবসায় কি কোনও ছাপ পড়তে পারে? এ বিষয়ে রক্তবীজ ২ এর পরিচালক নন্দিতা রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মুখ খোলেন সংবাদ মাধ্যমের কাছে। তাঁর স্পষ্ট জবাব, এর কোনো প্রভাবই ছবির উপরে পড়বে না।

Will enforcement directorate summon affect raktabeej 2 box office collection

কী বললেন নন্দিতা: নন্দিতার কথায়, মানুষ বিনোদনের জন্য সিনেমা দেখে। এর সঙ্গে কলাকুশলীদের ব্যক্তিগত জীবনের কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি আরও বলেন, সেলিব্রিটিদের (Enforcement Directorate) নিয়ে তো অনেক কথাই হয়, কিন্তু তার প্রভাব কখনোই সিনেমার উপরে পড়ে না। রক্তবীজ ২ এর ক্ষেত্রেও কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয় বলেই মন্তব্য করেন নন্দিতা।

আরও পড়ুন : তারকা স্টেটাস পেছনে ফেলে পুরুলিয়ায় প্রচারে ‘রঘু ডাকাত’, মেতে উঠলেন কচিকাঁচাদের নিয়ে

ইডির অফিসে হাজিরা অঙ্কুশের: উল্লেখ্য, সোমবার অনলাইন বেটিং অ্যাপ কেলেঙ্কারি মামলায় ইডির সমন পেয়ে দিল্লিতে হাজিরা দিয়েছিলেন মিমি চক্রবর্তী। মঙ্গলবার ইডির (Enforcement Directorate) অফিস হাজিরা দেন অঙ্কুশ হাজরা। এদিন সকাল সাড়ে ১১ টা নাগাদ ইডির দফতরে পৌঁছান তিনি। তাঁর হাতে বেশ কিছু নথিপত্রও দেখা গিয়েছিল।

আরও পড়ুন : পুজোয় দার্জিলিং বেড়ানো মাটি! আচমকা বন্ধ টয়ট্রেন পরিষেবা, মুখ ভার পর্যটকদের

প্রসঙ্গত, অনলাইন বেটিং অ্যাপ কেলেঙ্কারি মামলায় যে তারকাদের নাম জড়িয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে ইডির অভিযোগ, এই বেআইনি বেটিং অ্যাপগুলির প্রচার করে আর্থিক সুবিধা পেয়েছেন তাঁরা। এই মামলায় জড়িয়েছেন দক্ষিণ ভারতীয় তারকা বিজয় দেবেরাকোন্ডা, রাণা দগ্গুবতী থেকে কপিল শর্মাও। এমনকি ক্রিকেট জগতের শিখর ধাওয়ান, সুরেশ রায়নাদেরও তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।