বাংলাহান্ট ডেস্ক : আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার কারণে এবার বাজারে চাহিদার তুলনায় কম রয়েছে ইলিশ (Hilsa Fish)। তবে পুজো সামনে এগিয়ে আসায় পদ্মার ইলিশের চাহিদা বাড়তে শুরু করেছে এপার বাংলায়। পুজোর আগেই যাতে বাজারে পদ্মার ইলিশ (Hilsa Fish) ঢুকে যায় তার জন্য এবার উদ্যোগ নিয়েছেন কলকাতার মাছ আমদানিকারকরা। রফতানির সময়সীমা বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে বাংলাদেশ সরকারের কাছে চিঠি দিয়েছেন তাঁরা।
পদ্মার ইলিশ (Hilsa Fish) রফতানির অনুমতি চেয়ে চিঠি বাংলাদেশ সরকারকে
এপার বাংলায় পদ্মার ইলিশ (Hilsa Fish) রফতানি করার সময়সীমা যাতে বাড়ানো হয়, এই মর্মে অনুরোধ জানিয়ে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে ঢাকায় বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকের উপদেষ্টা তৌহিদ হাসানের কাছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে মোট ২৪২০ টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু নির্ধারিত সময় কম থাকায় মাত্র ৫৭৭ টন ইলিশই (Hilsa Fish) পৌঁছাতে পেরেছিল এপারে। এতে একে তো পুজোর বাজারে পদ্মার ইলিশের জোগানে ঘাটতি পড়েছিল, উপরন্তু আমদানিকারকরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
কী বলা হয়েছে চিঠিতে: ইলিশ (Hilsa Fish) রফতানির জন্য যে সময়সীমা নির্ধারণ করা হয় তা যথেষ্ট নয়। নির্ধারিত ৩০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ ইলিশের (Hilsa Fish) রফতানি করা একরকম অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। ফলত প্রতি বছর একই রকম সমস্যার মুখে পড়তে হয় আমদানিকারকদের। এবারে যাতে তেমন পরিস্থিতিতে না পড়তে হয় তার জন্য রফতানির অনুমতিপত্র আগেই প্রদান করার জন্য এবং নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ না করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে বাংলাদেশ সরকারকে। এতে দুদিকই লাভবান হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : বিশ্ব জুড়ে হাহাকার, বাজছে সুনামির সাইরেন! শুধু রাশিয়া-জাপান নয়, কোন কোন শহর ডুববে জলের তলায়?
পুজোয় মিলবে পদ্মার ইলিশ: কলকাতায় মৎস্য আমদানি সমিতির সচিব জানান, আগেভাগেই রফতানির অনুমতি দেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন তাঁরা। এতে রফতানিকারকরা প্রস্তুতি নিতে যথেষ্ট সময় পাবেন আর পুজোর মধ্যে এপারের বাজারে ইলিশও (Hilsa Fish) ঢুকে যাবে।
আরও পড়ুন : ৮ বছর পার করে দুর্গা রূপে মহালয়ায় ফিরছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী, বিরাট চমক এই চ্যানেলের
প্রসঙ্গত, গত ১১ জুন বাংলাদেশে ইলিশ সহ অন্যান্য সামুদ্রিক মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে এখনও পর্যন্ত মেলেনি রফতানির অনুমতি। বাংলাদেশ সরকার চিঠির অনুরোধ মেনে অনুমতি দিলে পুজোর মধ্যেই বাজারে পদ্মার ইলিশ ঢুকে যাবে বলেই আশাবাদী মৎস্য ব্যবসায়ীরা।