বাংলা হান্ট ডেস্ক: সাম্প্রতিক সময়ে চরম আর্থিক সঙ্কটের সম্মুখীন হয়েছে পড়শি দেশ পাকিস্তান (Pakistan)। সেখানকার সামগ্রিক পরিস্থিতি এতটাই বেগতিক হয়ে গিয়েছে যে, ওই দেশের জনগণের কাছে খাবার কেনার টাকা পর্যন্ত নেই। এমতাবস্থায়, বারংবার IMF তথা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছে সাহায্যের আবেদন করছে পাকিস্তান সরকার। তবে, এবার এমন একটি আপডেট সামনে এসেছে যেটি পাকিস্তানের অভাব মিটিয়ে দিতে পারে।
পাকিস্তানের (Pakistan) সোনার ভাণ্ডার:
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, এবার সৌদি আরব পাকিস্তানের (Pakistan) বেলুচিস্তানে অবস্থিত সোনার খনির ১৫ শতাংশ শেয়ার কেনার প্রস্তাব দিয়েছে। এই চুক্তি সম্পন্ন হলে পাকিস্তানের অভাবের পরিমাণ কিছুটা হলেও কমানো যাবে। উল্লেখ্য যে, পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে একাধিক সোনার খনির সন্ধান পাওয়া গেছে। সেখানকার রেকো ডিক (Reko Diq) খনি সোনা ও তামায় পরিপূর্ণ।
বলা হচ্ছে বেলুচিস্তানের চাগাই জেলায় অবস্থিত এই খনিটিতে লক্ষ লক্ষ টন সোনা মজুত রয়েছে। এটি বিশ্বের সেই সব বৃহত্তম খনিগুলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যেখানে সোনা এবং তামা খনন করা হয়। যখন থেকে এটি প্রকাশ্যে এসেছে, তখন থেকেই সমগ্র বিশ্বের মনোযোগ এই দিকে হয়েছে। চিনও ইতিমধ্যেই এদিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করেছে এবং বর্তমানে সেখানে খনন কাজ চালাচ্ছে। কারণ, তারা জানে সেখানে মাটির নিচে সোনার বিশাল ভান্ডার মজুত রয়েছে। এদিকে, আমেরিকারও সেদিকে নজর রয়েছে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ জিতে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ! রোহিত বাহিনীর বাড়ল চিন্তা
অনুদান দেওয়ার প্রস্তাব: ঠিক এই আবহেই পাকিস্তানকে বড় প্রস্তাব দিয়েছে সৌদি আরব। আসলে সৌদি আরব পাকিস্তানের এই খনির ১৫ শতাংশ শেয়ার কিনতে চায়। তারা বিষয়টি পাকিস্তান (Pakistan) সরকারের সামনে তুলে ধরেছে। সৌদি আরব এমনও প্রস্তাব দিয়েছে যে পাকিস্তান যদি এই খনির অংশ দেয়, তাহলে সেই খনির পরিকাঠামগত উন্নয়নের জন্য তারা আরও অনুদান দিতে প্রস্তুত। এমতাবস্থায়, এই লোভনীয় অফারের বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য পাকিস্তান একটি কমিটি গঠন করেছে। যেটি শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে।
আরও পড়ুন: শুরু হল কাউন্টডাউন! সামনে এল ২০২৫-এর সবচেয়ে বড় ম্যাচের তারিখ, এখন থেকেই প্রস্তুত রোহিত-কোহলিরা
সঙ্কট থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করবে: দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, রেকো ডিক খনির ৫০ শতাংশ কানাডিয়ান কোম্পানি ব্যারিক গোল্ডের মালিকানাধীন। এই সংস্থা সোনা ও তামার খনি অপারেট করে। খনির অবশিষ্ট ৫০ শতাংশ বেলুচিস্তান এবং পাকিস্তান সরকারের মধ্যে ভাগ করা হয়েছে। তাই, এই সিদ্ধান্ত নেওয়া পাকিস্তান (Pakistan) সরকারের পক্ষে সহজ হবে না। তবে, সৌদি আরব যদি এই ভাগ পায় তাহলে তা পাকিস্তানকে আর্থিক সঙ্কট থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করতে পারে।