বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ গতকাল এবং আজ ইংল্যান্ডের ওভালে ভারতীয় বোলারদের বিরুদ্ধে স্টিভ স্মিথ (Steve Smith) ও ট্র্যাভিস হেডের (Travis Head) ব্যাটিং দেখে আশায় বুক বাঁধছিলেন ভারতীয় সমর্থকরা। পিচ দেখে কখনো মনে হয়নি যে সেটি খুব বিপজ্জনক। ভারতীয় ব্যাটাররাও একই রকম দাপট দেখাবে এই পিচে, সেটা আশা করেছিলেন সমর্থকরা। কিন্তু বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে (WTC Final) দ্বিতীয় দিনের শেষ দিকে রোহিত শর্মাদের (Rohit Sharma) নিয়ে তৈরি হওয়া এই ভ্রান্ত ধারণা ভাঙতে দেরি হয়নি।
অধিনায়ক রোহিত শর্মা আইসিসি টুর্নামেন্টের নক আউট পর্যায়ে খুব একটা সফল নন। কিন্তু নিজের অধিনায়ক করতে তিনি সেই খারাপ রেকর্ড কাটিয়ে উঠবেন এমনটা আশা করেছিলেন অনেকেই। শুরুটা মন্দ করেননি তিনি। কিন্তু ১৫ রানের ব্যক্তিগত স্কোর করে অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়কের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরেছেন ভারতীয় অধিনায়ক।
শুধু তিনি নন, গোটা ভারতীয় টপ অর্ডার আজ আবারও আইসিসি টুর্নামেন্টের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে চূড়ান্ত ব্যর্থ। শুভমান গিল (১৩) শুরুর দিকে কয়েকটি দৃষ্টিনন্দন শট খেলেছেন। মনে হচ্ছিল যে কামিন্স এবং স্টার্ক দুজনকেই বেকায়দায় ফেলে দিয়েছেন তিনি। কিন্তু স্কট বোল্যান্ডকে আক্রমণে আনতেই বদলে যায় পরিস্থিতি। ইনসুইং ডেলিভারির লাইন বুঝতে ভুল করে জাজমেন্ট দিয়ে বলটি ছেড়ে দিলে সেটি তার স্টাম্প ভেঙে দেয়।
বিরাট কোহলিও (১৪) অত্যন্ত ধৈর্য ধরে ক্রিজে পড়েছিলেন। তিনি সেট হয়ে যাচ্ছেন এটা দেখে ফের স্টার্ককে আক্রমণে ফিরিয়ে আনা হয়। তারপর একটি ডেলিভারি আচমকাই লাফিয়ে উঠে তার ব্যাটের হ্যান্ডেলে লাগে। অত্যান্ত একটি ক্যাশ নেন স্লিপে দাঁড়ানো স্টিভ স্মিথ। অপরদিকে পূজারা কাউন্টি ক্রিকেট খেলেছিলেন এবং ইংল্যান্ডের পরিবেশের সঙ্গে অভ্যস্ত ছিলেন। কিন্তু তাও শুভমান গিলের মতোই ভুল করে নিজের উইকেটটি ছুড়ে দিয়ে এসেছেন তিনি।
সবাই ব্যর্থ হওয়ার পরও রোহিত শর্মার সমালোচনা অত্যন্ত বেশি হচ্ছে। তার অবশ্য কারণও রয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাদে অন্যান্য আইসিসি টুর্নামেন্ট গুলির নকআউট পর্যায়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দুটি শতরান ছাড়া রোহিত শর্মার প্রাপ্তির ভাঁড়ারটা সম্পূর্ণ শুন্য। এখনো দ্বিতীয় ইনিংস রয়েছে ঠিকই। তবে সেই ইনিংসে রোহিত শর্মার এই ব্যর্থতার চিত্রটা কেটে যাবে এমনটা আশা করছেন না কেউই।