টিউশন না পড়েই, পুরানো বই পাঠ করে শ্রমিকের মেয়ে হয়ে গেল বোর্ড টপার, ছুঁয়ে দেখেনি স্মার্ট ফোন

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ফলাফল বেরল উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) বোর্ডের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার। শ্রমিক পিতা অঙ্গদ যাদব এবং গৃহকর্মী মা গীতা দেবী দুজনেই স্বল্প শিক্ষিত হলে কি হবে, তাঁদের কন্যা আনশু যাদব (Anshu Yadav) হল বোর্ড টপার (Board topper)। সমস্ত প্রতিকূলতাকে জয় করে নিজের মেধার জোরে আজ উত্তরপ্রদেশ বোর্ডের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করল আনশু যাদব।

জানে না স্মার্ট ফোনের ব্যবহার
পরিবারের বড় দুই দাদা এবং বাবা মায়ের সাথে থাকে আনশু। পড়াশুনার জন্য কোনদিন কোন আলাদা করে প্রাইভেট শিক্ষক ছিল না তাঁর। বড় দাদারাই তাঁকে পড়াত বলে জানালেন আনশু। এমনকি এখনও অবধি স্মার্টফোনও ধরেনি আনশু। অনলাইন পড়াশোনার বিষয়েও জানে না তিনি। তাঁর নতুন বইও ছিল না। পুরোন নিয়েই পড়াশুনা করত আনশু। দাদাদের সাথে সিভিলের দিকে এগিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা আছে তাঁর।

photo 21

লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়ে পিতা
বর্তমান করোনা সংকটের মধ্যে অন্যান্য শ্রমিকদের মতো তাঁর বাবাও কর্মহীন হয়ে পড়েছিল। তখন তাঁদের খুব কষ্টে সংসার চলেছিল। তা সত্ত্বেও হার হানেননি তিনি। এগিয়ে গেছেন নিজের লক্ষ্যে। তবে লকডাউন শিথিল হওয়ায় ১০ থেকে ১৫ দিন হল তাঁর বাবা আবার কাজে যুক্ত হয়েছেন।

আনশুর প্রাপ্ত নম্বর- ৯৭ পেয়েছে হিন্দিতে, ৯৪ ইংরেজিে, ৯৬ গণিতে, ৮৬ বিজ্ঞানে, ৯১ সামাজিক বিজ্ঞানে এবং ৯২ পেয়েছে কম্পিউটারে।

আইএএস হয়ে সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে আনশু
সাফল্যের এই দিনে তিনি জানিয়েছেন, কখনই পড়াশুনার জন্য আলাদা করে সময় রাখেননি তিনি। পড়শুনা নিয়ে বসলে এক মনে তাই করে যেতেন। পড়ার মাঝে কোথাও আটকে গেলে ভাই রবির কাছ থেকে সাহায্য নিতেন। তবে তাঁর কিন্তু কোন আলাদা করে প্রাইভেট শিক্ষক ছিল না। আইএএস হয়ে সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে আনশু। সামাজের পিছিয়ে পড়া মানুষজন, বিশেষত মেয়েদের সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে নিজেকে ব্রতী রাখতে চান তিনি।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর