বাংলা হান্ট ডেস্ক: সালটা ছিল ২০১৯, এই বছরের ডিসেম্বরে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) পাস হওয়ার পর থেকে এই পর্যন্ত জল গড়িয়েছে অনেক দূর। ভারতবর্ষে প্রথম এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাস হওয়ার পর দেশজুড়ে বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছিল তুমুল বিক্ষোভ।
পরবর্তীতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসতেই সেই থেকে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের নিয়ম জারি করতে এবার লেগে গেল তিন-তিনটে বছর। যার ফলস্বরূপ বুধবার নয়া-দিল্লিতেই এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকলেন গোটা দেশবাসী। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের অধীনে বুধবার প্রথম ১৪ জনের হাতে তুলে দেওয়া হলো ভারতীয় নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট।
এদিন পাকিস্তান,আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে নির্যাতিত অমুসলিম অভিবাসীদের হাতে ভারতীয় নাগরিকত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে। এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লার হাত থেকে ভারতীয় নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট নিয়ে দারুণ উচ্চশিত হয়ে পড়েছিলেন পাকিস্তানের এক তরুণী।
দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তানে নিপীড়িত-শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবন কাটানোর পর ২০১৪ সালে প্রথম মুক্তির স্বাদ পেতে পাকিস্তান ছেড়ে ভারতে চলে এসেছিলেন ওই তরুণী। সেই প্রথম শুরু হয় তার ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার লড়াই।
আরও পড়ুন: ‘‘সব প্রমাণ ওই CCTV-তে আছে…’, জামিন পেয়েই কী ‘ফাঁস’ করলেন জীবনকৃষ্ণ? শোরগোল’
শেষ পর্যন্ত বুধবার ভারতীয় নাগরিক হওয়ার পর ভাবনা নামের ওই তরুণী জানান একসময় একজন মেয়ে হিসেবে সাধারণ জীবন যাপনের জন্য পাকিস্তানে তাকে নাকি নিদারুণ সমস্যার মুখে পড়তে হতো। সেখানে মেয়েরা পড়াশোনা তো দূর,বাড়ির বাইরে পর্যন্ত পা রাখতে পারতেন না।
শুধু তাই নয়, বাড়ির বাইরে বেরোলেও তাদের নাকি মুসলিমদের মতো বোরখা পড়ে বেরোতে হতো। তবে এদিন ভারতীয় নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট হাতে পাওয়ার পর ওই তরুণীকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘ভারতে এসে খুব ভালো লাগছে। আমরা এখন পড়াশোনা করছি। আমি এখন একাদশ শ্রেণিতে পড়ি। টিউশন পড়তে যাই।’
https://twitter.com/RNagothu/status/1790724501925482726
প্রসঙ্গত দীর্ঘদিন যাবৎ CAA-র বিরোধিতা করার জন্য এদিন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানিয়ে অমিত শাহ বলেছেন ‘নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, দেশের আইন। আর সেই আইনকে এভাবে ঝেড়ে ফেলা যাবে না। যে হিন্দু,বৌদ্ধ,জৈন কিংবা খ্রিস্টানরা শরণার্থী হিসেবে ২০১৪ সালের আগে পাকিস্তান,বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ভারতে এসেছেন তাঁদের অধিকার আছে। নথি থাকুক বা না থাকুক, তাঁরা নাগরিকত্ব পাবেন।’