মমতার সভায় হাজির তাঁরই ‘ডুপ্লিকেট’! একুশের সমাবেশে চমকপ্রদ কাণ্ড, নেপথ্যের কারণ জানলে ভারী হবে মন

Published on:

Published on:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : পরনে নীল পাড় সাদা শাড়ি, পায়ে হাওয়াই চটি, চোখে চশমা। হুবহু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সাজেই একুশে জুলাইয়ের সমাবেশে হাজির এক তরুণী। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই তাঁর ‘নকল’ সেজে উপস্থিত হওয়ার সাহস হল কী করে? তরুণীর সাজসজ্জা দেখে এমনই প্রশ্ন উঠে যায় স্বাভাবিক ভাবেই। কিন্তু এই সাজের নেপথ্যে কারণ শুনলে অবাক হতে হয় বইকি।

একুশের সমাবেশে হাজির ‘নকল’ মমতা (Mamata Banerjee)!

তৃণমূলের এই বার্ষিক সমাবেশে (TMC 21 July) যোগ দেয় বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা বিভিন্ন ধরণের মানুষ। অনেকে আবার নানান সাজেও আসেন। কিন্তু এবারে ধর্মতলায় ‘প্রতীকী’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) দেখে হকচকিয়ে যান অনেকেই। কিন্তু হঠাৎ এমন সাজ কেন তরুণীর? জানা গিয়েছে, আসল এক মহৎ উদ্দেশ্য নিয়েই একুশের সমাবেশে এসেছেন তিনি।

Woman dressed like mamata banerjee went to tmc 21 july event

এমন সাজের উদ্দেশ্য কী: মমতার সাজে হাতে একটি ভাণ্ডার নিয়ে সভায় এসেছিলেন তরুণী। তাতে লেখা ‘জীবন ভাণ্ডার’। জানা গেল, সোনারপুরের ছোট্ট হৃদিকার জন্য আর্থিক সাহায্য জোগাড় করতে এই জীবন ভাণ্ডার। রানাঘাটের অস্মিকার কথা মনে আছে নিশ্চয়ই? জটিল স্নায়ুরোগ ‘স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রফি, টাইপ ১’এ আক্রান্ত ছিল অস্মিকা। সেই একই রোগে আক্রান্ত হৃদিকাও।

আরও পড়ুন : তৃণমূলের অন্দরেই লুকিয়ে স্বামীর খুনিরা! একুশের সমাবেশে দলের বিরুদ্ধেই বিষ্ফোরক নিহত দুলাল সরকারের স্ত্রী

অর্থের প্রয়োজন হৃদিকারও: ১৬ কোটির ইঞ্জেকশন প্রয়োজন ছিল অস্মিকার। সেই ইঞ্জেকশন নিয়ে এখন সুস্থ সে। হৃদিকারও প্রয়োজন একই ইঞ্জেকশন। সেই অর্থ জোগাড় করতেই এই জীবন ভাণ্ডারের উদ্যোগ। জন্মের মাস চারেক পরেই দেখা যায়, ঘাড় শক্ত হচ্ছে না ছোট্ট অস্মিকার। হামাগুড়ি দেওয়াও শিখছে না সে। তারপরেই ধরা পড়ে জটিল স্নায়ুরোগে আক্রান্ত ওই দুধের শিশু। সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারে ওই বিপুল পরিমাণ অর্থের ইঞ্জেকশন কেনার ক্ষমতা নেই।

আরও পড়ুন : তৃণমূলের শহিদ স্মরণে পহেলগাঁওতে নিহত বিতানের বাবা মা, হাজির শহিদ জওয়ানের পরিবার, পেলেন আর্থিক সাহায্য

একুশের সভায় জীবন ভাণ্ডার হাতে উপস্থিত তরুণী বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই এই জীবন ভাণ্ডার। এত মানুষ এখানে উপস্থিত হয়েছেন, যদি প্রত্যেকে ২-৫ টাকা করেও দেন, তাহলেও অনেকটাই অর্থ উঠবে। জানা গিয়েছে, এক কোটি উঠেছে। ৯ কোটি টাকা প্রয়োজন। একুশে জুলাইয়ের ভিড় থেকে যদি কিছু টাকা ওঠে সেই আশাতেই সমাবেশে হাজির তাঁরা।