বাংলা হান্ট ডেস্ক : ক্যান্সার রোগীদের সাময়িক ভাবে সুস্থতার একমাত্র উপায় কেমোথেরাপি৷ আর কেমোথেরাপির মাধ্যমে চিকিত্সায় একজন ক্যান্সার রোগীর শরীরে একাধিক সমস্যা দেখা যায় যেমন চুল ওঠা কিংবা ওজন কমে যাওয়া৷ যদিও ক্যান্সার রোগীদের কেমোথেরাপি ছাড়ার পরে মাথার চুল আবারও গজিয়ে ওঠে কিন্তু তাতে আগের মতো চুলের সৌন্দর্য আর থাকে না৷ তাই ক্যানসার রোগীদের জন্য নিজের চুল দান করে নজির গড়েছিলেন এক বঙ্গকন্যা৷ এর পর সেই তালিকায় যুক্ত হলেন কেরলের এক মহিলা কনস্টেবল৷
পেশায় একজন পুলিশ আধিকারিক হলেও অপর্ণা লাভা কুমারের ঘন কালো চুল ছিল রীতিমতো হিংসে করার মতো৷ কিন্তু সেই সৌন্দর্যের চুল তিনি ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের জন্য একে বারে মুড়িয়ে কেটে ফেললেন৷ কেরলের ত্রিশূরের ইরিনজ্বালাকুঁড়া মহিলা থানার কর্তব্যরত কনস্টেবল অপর্ণা দেবী৷ তিনি তিন বছর আগে আরও একবার নিজের চুল দান করেছিলেন৷ যদিও সে সময় খবরটি সংবাদমাধ্যমে এসে পৌঁছয়নি কারণ তিনি কখনই প্রচারের আলোয় আসতে চাননি৷ তবে এ বার আর কোনও রাখ ঢাক নয়৷
ফেসবুকের মাধ্যমে গোটা দেশের কাছে পরিচিতি পেলেন তিনি৷ সৌজন্যে তাঁর ঘন কালো চুল একজন ক্যান্সার আক্রান্ত মরণাপন্ন রোগীকে দান করা৷ যদিও এসবকে তিনি তুচ্ছ মনে করেন৷ তবে প্রথমে কিন্তু এই কাজ করার জন্য তাঁকে ত্রিশূর জেলা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়েছিল৷ যেহেতু তিনি একজন পুলিশ আধিকারিক তাই জেলা পুলিশ প্রধান এন বিজয় কুমার বিষয়টি মেনে নেবেন কি না তা ও ছিল সন্দেশের যদিও জেলা পুলিশ প্রধান অপর্ণা দেবীকে তাঁর চুল কাটার বিষয়টি নিজেই মেনে নিতে পারবেন কি না প্রশ্ন করেছিলেন৷
তবে শুধুমাত্র অপর্ণা দেবী নন তাঁর কৃতিত্বের সাক্ষী হতে ইতিমধ্যেই তাঁর দুই মেয়েও ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের চুল দান করেছেন৷ সত্যিই মাথার চুল মুড়িয়ে কেটে ফেললেও আবারও চুল গজাবে কিন্তু একজন ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর মাথার চুল একবার উঠে যেতে শুরু করলেই সে ভাবে আর চুল গজিয়ে ওঠে না আর তাতেই সমাজের মুখে হাসি খিল্লি পাত্র হতে হয় তাঁদের৷ সাধারণ মানুষের কথা ভেবে অপর্ণাদেবীর এই বিশেষ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন দেশবাসী৷