বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত প্রায় আড়াই মাস ধরে শিরোনামে রয়েছে সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে স্থানীয় মহিলাদের রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখেছে গোটা বাংলা। শাহজাহানের গ্রেফতারির পর সেই উত্তাপ কিছুটা কমেছিল। তবে বসিরহাটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার আগে আবারও উত্তপ্ত এই গ্রাম। এবার অভিযোগের তীর দুই তৃণমূল নেতার (TMC Leader) বিরুদ্ধে।
ঘটনাস্থল সুখদোয়ানি। দুই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ইট বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করা সহ একাধিক অভিযোগ এনেছেন গ্রামবাসীরা। কারোর অভিযোগ, দুর্গা মন্দির তৈরির জন্য যে ইট বরাদ্দ করা ছিল, সেটা বিক্রি করে দিয়েছেন অঞ্চল সভাপতি সঞ্জীব আড়ি এবং দেবব্রত ভুঁইয়া। কেউ আবার দাবি করেছেন, ম্যানগ্রোভ কেটে নদীর চর বিক্রি করে দোকান বানানো হয়েছে।
এখানেই শেষ নয়! বেশ কিছু গ্রামবাসীর আবার অভিযোগ, নির্মল বাংলার প্রকল্পের শৌচাগার তৈরির জন্য যে ইট বরাদ্দ করা হয়েছিল সেটা ঠিকাদারকে বিক্রি করে দিয়েছেন তৃণমূল (TMC) নেতা দেবব্রত এবং সঞ্জীব। বুধবার সেই ইট তুলতে আসেন ঠিকাদার। তখনই শুরু হয় বিক্ষোভ।
আরও পড়ুনঃ ‘গোষ্ঠীকোন্দল তৃণমূলের সিলেবাসের মধ্যেই পড়ে’, ভোটের আগে বেফাঁস শতাব্দী! অস্বস্তিতে দল
উত্তেজিত জনতার হাত থেকে বাঁচতে ঘরের ভেতর ঢুকে যান দুই নেতা। তাঁদের সুরক্ষার খাতিরে সম্পূর্ণ বাড়ি ঘিরে ফেলে পুলিশ। পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে নামে র্যাফ। জানা যাচ্ছে, উত্তেজিত গ্রামবাসীরা দেবব্রতর বাইক ভেঙেছে। পাশাপাশি তাঁর ভাইপোকে মারধর করার অভিযোগও উঠেছে।
পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে গিয়েছিল যে সামাল দিতে গিয়ে মাটিতে পড়ে যায় পুলিশ, উঠেছে এমনই অভিযোগ। এদিকে যার দিকে অভিযোগের তীর সেই দেবব্রত ভুঁইয়া জানিয়েছেন, কালভার্টের স্কিমের জন্য কিছু ইট কম পড়েছিল। সেই জন্য তিনি ঠিকাদারকে পঞ্চায়েতের ইট নেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু বেঁকে বসে পুজো কমিটি। তারা জানিয়ে দেয়, ইট দেওয়া হবে না। এরপরেও ঠিকাদার সেই ইট নামিয়ে নিলে শুরু হয় ঝামেলা। দেবব্রতর কথায়, ‘আমরা যখন মিটিংয়ে যাচ্ছিলাম সেই সময় ঘিরে ধরে বলে শাহজাহান এটা করেছে ওটা করেছে। আর কিছু হয়নি। বাকি সব মিথ্যা’।
প্রসঙ্গত, বিগত প্রায় আড়াই মাস ধরে সন্দেশখালি নিয়ে চর্চা হচ্ছে। গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে সরবেড়িয়ায় শাহজাহানের বাড়িতে গিয়ে হামলার মুখে পড়েন ইডি আধিকারিকরা। উত্তেজিত জনতার হাতে প্রহৃত হন তাঁরা। বর্তমানে এই ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই।