বাংলাহান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে রেকর্ড আসন নিয়ে ফের ক্ষমতায় এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস। ২০০ আসন জিতে জয়ের দাবি করা বিজেপি মাত্র ৭৭ আসনেই থমকে গিয়েছে। ২ মে ফল ঘোষণার পর এটুকু স্পষ্ট হয়েছে যে, বাংলা নিজের মেয়েকেই চেয়েছে। তবে সর্বসমক্ষে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নন্দীগ্রাম আসনে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাত্র ১৬০০ ভোটে পরাজিত হয়েছেন।
তবে রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই চারিদিকে হিংসার খবর উঠে আসছে। কোথাও পার্টি অফিস আবার কোথাও বিরোধী দলের কর্মী বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর ঘটনা সামনে আসছে। রাজ্যের চারিদিকে এমন হিংসা ছড়িয়ে পড়ার পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে। যদিও, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন যে, বিজেপি পুরনো ছবি দেখিয়ে হিংসার অভিযোগ করছে।
আর এরই মধ্যে একজন মহিলা তৃণমূল কর্মীর ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে। ভিডিওটি কোথাকার সেটা আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব হয়নি। তবে ভিডিওটিতে ওই মহিলা তৃণমূল কর্মীকে বলতে শোনা যাচ্ছে যে, ওনার দোকানে ভাঙচুর চালিয়েছে তৃণমূলের কর্মীরাই। বলে রাখি, গতকাল হাওড়ার শিবপুর থেকেও একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল, যেখানে একটি দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাট করতে দেখা গিয়েছে।
ওই মহিলা তৃণমূল কর্মী ভিডিওতে বলছেন, ‘আমি তৃণমূল করি, এলাকার সবাই জানে আমি তৃণমূলের লোক। কিন্তু তা সত্বেও আমারই দোকানে ভাঙচুর চালালো তৃণমূলের কর্মীরা।” ওই মহিলা আরও বলেন, ‘পাশে বিজেপি সমর্থকের দোকান ছিল, সেটাকে ছেড়ে দিয়ে আমার দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়।” ওই মহিলা আরও বলেন, বেছে বেছে হিন্দুদের দোকানে ভাঙচুর চালানো হচ্ছে।
ওই মহিলা তৃণমূলের থেকে দোকান ভাঙার জন্য ক্ষতিপূরণও চেয়েছেন। তৃণমূল কর্মী বলে দাবি করা ওই মহিলা নিজেকে মিনা সাহা বলে পরিচয় দিয়েছেন। মহিলা জানিয়েছেন যে, তৃণমূল নেতা হামিদুল তাঁর ফলের দোকানে ভাঙচুর করেছে। তিনি ক্ষতিপূরণ বাবদ ৩০ হাজার টাকারও দাবি করেছেন।