বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছর শেষের আগেই বঙ্গে বেজে গেল নির্বাচন দামামা। রবিবার গীতা পাঠের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী না এলেও মঙ্গলবার কলকাতায় আসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। দিনভর কলকাতায় একাধিক কর্মসূচি ছিল তাদের। আর এদিকে সেই শাহী সফরের মাঝেই ব্লকে ব্লকে প্রতিবাদ মিছিল বের করে তৃণমূল (Trinamool Congress)। বের হয় মহামিছিল। নেতৃত্বে ছিলেন শশী-সায়নীরা।
গতকাল দলীয় বৈঠক থেকে আসন্ন লোকসভায় বাংলায় ৩৫ এর বেশি আসনে বিজেপিকে জেতাতে হবে বলে লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন শাহ। এর আগে বাংলায় এসেই শাহ বলেছিলেন বাংলা থেকে ৩৫ আসন চাই। গতকালও সেই টার্গেটকে সামনে রেখে শাহ বলেন, ‘‘বাংলার পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গিয়েছে। দিদি যাই করুন না কেন, বাংলায় বিজেপি জিতবেই। বাংলায় এ বার ৩৫-এর বেশি আসনে জয় পাবে বিজেপি।’’ আর এবার এই নিয়েই পাল্টা বিজেপিকে দিলেন তৃণমূল যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)।
বিজেপিকে কটাক্ষ করে সায়নীর পাল্টা মন্তব্য,” ৩৫ কেন, বিজেপি বাংলা থেকে লোকসভায় সাড়ে তিন আসনও জিততে পারবে না।” সায়নীর কথায়, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলের অধিকারের জন্য লড়াই করেন। দিল্লি থেকে তাদের নেতাদের এনে বিজেপি যা করে তা অনুসরণ করার কোনও মানে নেই। আমি শুনেছি যে অমিত শাহ ৩৫টি আসনের লক্ষ্য দিয়েছেন। তারা যেভাবে সকলের মনে ভয় জাগানোর চেষ্টা করছেন। সেভাবে এখানে কাজ হবে না। বিজেপি বাংলা থেকে সাড়ে ৩টিও আসন পাবে না, ৩৫টি ছেড়ে দিন। ”
স্বামী বিবেকানন্দকে নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি অপমানজনক মন্তব্য করেছেন এই দাবি তুলে সুকান্ত মজুমদারকে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে গতকাল প্রতিবাদে নামে যুব তৃণমূল। রবিবার ব্রিগেডে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন, “বাংলা কয়েক দশক ধরে সনাতন ধর্মের কেন্দ্র ছিল কিন্তু কমিউনিস্ট শাসনের কারণে এর মধ্যে লাইনচ্যুত হয়ে গিয়েছিল, “কিছু লোক এমনকি বলেছিল যে ‘গীতা পড়ার চেয়ে ফুটবল খেলা ভাল।” সুকান্ত মজুমদারের এই ভিডিওর একটি ক্লিপকে হাতিয়ার করেই ময়দানে নামে শাসকদল।
আরও পড়ুন: নতুন বছরেই ধামাকা! বিরাট পরিমাণে বেতন বাড়বে সরকারি কর্মীদের, ৪৮ লক্ষের তালিকায় কারা?
এই নিয়ে সায়নি বলেন, “বিজেপি বাংলার সাংস্কৃতিক ও সামাজিক আইকনকে সম্মান করে না। বিজেপি আমাদের আইকনদের সম্মান করতে জানে না। স্বামী বিবেকানন্দ সম্পর্কে সুকান্ত মজুমদার যা বলেছিলেন তার বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ ছিল স্বতঃস্ফূর্ত।”
আরজিকর কান্ডে বিতর্কিত মন্তব্যের পর, পুজো উদ্বোধনে সৌরভ বললেন, ‘এই শেষ…’