বাংলাহান্ট ডেস্ক: দিল্লিতে ফের চালু হতে চলেছে ওয়ার্ক ফ্রম হোম (Work from Home)? দিল্লির বায়ুদূষণ বিপজ্জনক স্তরে পৌঁছেছে, যার দরুন রাজধানীতে ‘গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান’ বা GRAP-এর তৃতীয় ধাপ জারি করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সকল সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরে অফিসে কর্মী উপস্থিতি অর্ধেক কমানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বাকি অর্ধেক কর্মীকে বাড়ি থেকে কাজ করতে হবে। দূষণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনা এবং রাস্তায় যানবাহনের চাপ কমানোই এই সিদ্ধান্তের প্রধান উদ্দেশ্য। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা CAQM-এর পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, রাজধানী ও সংলগ্ন অঞ্চলের বায়ু গুণমান সূচক ৪০১-এর বেশি রেকর্ড হওয়ায় এই জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
দিল্লিতে ফের চালু হতে চলেছে ওয়ার্ক ফ্রম হোম (Work from Home)
বিশেষজ্ঞদের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, শীতকালীন তাপমাত্রা হ্রাস, শিল্প প্রতিষ্ঠান ও যানবাহনের দূষণ, নির্মাণকাজ এবং প্রতিবেশী রাজ্য থেকে আগত ধোঁয়া – এই সমস্ত কারণ সম্মিলিতভাবে দিল্লির বাতাসকে অত্যন্ত বিষাক্ত করে তুলছে। এই পরিস্থিতি শিশু, বৃদ্ধ এবং শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ। সরকারি তরফে দাবি করা হয়েছে, অফিসে কর্মী উপস্থিতি হ্রাস এবং নির্মাণ কাজে নিষেধাজ্ঞা, ধূলো নিয়ন্ত্রণ ও নিয়মিত পর্যবেক্ষণের মতো ব্যবস্থাগুলি যানবাহনের সংখ্যা কমাতে ও দূষণ নিয়ন্ত্রণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন:স্বর্ণখনিতে মিলবে ছাড়! আফগানিস্তানে বিনিয়োগের লক্ষ্যে ভারতীয় সংস্থাগুলিকে আহ্বান তালিবান সরকারের
উল্লেখযোগ্য যে, এবারের দিল্লির দূষণ নিয়ন্ত্রণ কৌশলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ রদবদল আনা হয়েছে। GRAP-IV পর্যায়ের কিছু কঠোর বিধিনিষেধ এবার GRAP-III-এর আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে, সরকারি দপ্তরে ‘স্ট্যাগার্ড টাইমিং’-এর মতো ব্যবস্থা, যা পূর্বে GRAP-III-এ কার্যকর ছিল, তা এখন GRAP-II-তে স্থানান্তরিত হয়েছে। অর্থাৎ, বায়ুদূষণের মাত্রা ৩০১-৪০০ AQI-তে পৌঁছলেই এই বিধি প্রযোজ্য হবে। অনুরূপভাবে, গণপরিবহন বৃদ্ধি ও দূষণ সংক্রান্ত পরামর্শমূলক ব্যবস্থা এখন GRAP-I-এ সরিয়ে আনা হয়েছে, যাতে ২০১-৩০০ AQI-তেই প্রাথমিক সতর্কতা কার্যকর হতে পারে।
দিল্লির পরিস্থিতির জটিলতা আরও বৃদ্ধি করেছে প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতে ফসল পোড়ানোর ঘটনা। উপগ্রহ চিত্রে পাঞ্জাবের ১৬টি, হরিয়ানার ১১টি এবং উত্তরপ্রদেশের ১১৫টি স্থানে ফসল পোড়ানোর চিত্র ধরা পড়েছে। যদিও এই সংখ্যা গত বছরের তুলনায় কম, কিন্তু বাতাসের উত্তরমুখী প্রবাহের কারণে এই ধোঁয়া দিল্লি-এনসিআর অঞ্চলে পৌঁছেছে।

আরও পড়ুন:চিকেন’স নেকের দিকে রয়েছে নজর? ভারত থেকে মাত্র ২০ কিমি দূরে সামরিক ঘাঁটি তৈরি করছে বাংলাদেশ
এই পটভূমিতেই দিল্লি সরকার ইতিমধ্যে নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে নির্ধারিত সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বহিরাঙ্গনের কার্যক্রম স্থগিত করার নির্দেশ জারি করেছে। রাজধানীর বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য রক্ষায় প্রশাসন এই মুহূর্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে চলেছে।












