বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: মাঝে আর মাত্র চারটে মাস। তারপরেই কাতারের মাটিতে শুরু হবে “দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ”। গোটা বিশ্বের নজর থাকবে কাতারের দিকে। অস্ট্রেলিয়া থেকে শুরু করে আর্জেন্টিনা বিশ্বের বিভিন্ন কোণ থেকে হাজার হাজার দর্শকেরা এসে পৌঁছাবেন কাতারের মাটিতে, ফুটবল বিশ্বকাপের মজার নিজের চোখে উপভোগ করতে। কিন্তু তাদের মধ্যে অনেকের জন্য থাকছে একটি খারাপ খবর।
কাতার একটি সংরক্ষণশীল দেশ, তা সকলেই জানেন। তারা এতটাই সংরক্ষণশীল যে কিছুদিন আগে স্পষ্ট ঘোষণা করে দিয়েছিলেন যে গোটা বিশ্ব বর্তমানে যে ধারাই অনুসরণ করুক না কেন করছে তাদের দেশে তাদের দেশে সমকামিতা এখনো অবৈধ। বিশ্বকাপ চলাকালীন আগস্ট এর কাছে তারা এই ব্যবহার বরদাশ্ত করবেন না। বার এমন আরও একটি ঘোষণা করল সেই দেশের সরকার। কাতার সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে একরাতের অবৈধ যৌন মিলনের জন্য সাত বছরের জেল হতে পারে বিশ্বকাপ অনুরাগী মানুষদের।
বিশ্বকাপ মানেই আনন্দ, মজা, কখনো কখনো একটু দুঃখ, সব মিশে জমকালো আবেগের মিলন স্থল। প্রিয় দলের জয় উদযাপন করতে কিংবা হারের দুঃখ কাটাতে অনেকেই ম্যাচ শেষে রাতভর পার্টি করে থাকেন, সুরা পান করে থাকেন। অনেক অচেনা মানুষ এই সময়ে মিলিত হন একে অপরের সঙ্গে। কখনো কখনো সেই মিলন সারা জীবনের অংশ হয়ে যায়। আবার কখনও তা এক রাতের সুখ স্মৃতি হয়ে থেকে যায়। কিন্তু এই দ্বিতীয় ধারার ওপরই এবার লাগাম লাগাতে বলেছে কাতার সরকার। তারা জানিয়ে দিয়েছেন যে স্বামী স্ত্রী চটি না হলে বিশ্বকাপ দেখতে এসে যৌন মিলন করা যাবে না। সেই জন্য অনেক ক্ষেত্রে পার্টির ওপরও নিষেধাজ্ঞা থাকছে। না মানলে দীর্ঘদিন জেলের ঘানি টানতে হতে পারে বলেও জানিয়ে দিয়েছে সে দেশের পুলিশ।
World Cup fans could be jailed for up to 7 years if they have a one night stand during their stay in Qatar. pic.twitter.com/SYkXtZqYOA
— PF | Transfer News (@PurelyFootball) June 20, 2022
ফিফা যদিও ঘোষণা করেছিল যে সমস্ত রকমের মানুষদের কাতারে অনুষ্ঠিত এই ফুটবল প্রতিযোগিতা দেখতে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে কিন্তু সম্প্রতি কাতার বিশ্বকাপে ফিফার মুখ্য নির্বাহী সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দিয়েছেন “প্রত্যেক দেশের সমর্থকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যাপারটা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ আর আমাদের দেশের সংস্কৃতি নয় এটি সর্বসমক্ষে ব্যক্তিগত ভালোবাসার প্রকাশ করা হোক সেটা সকলের জন্যই প্রযোজ্য থাকবে।” এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে অনেকেই অবশ্য আওয়াজ তুলেছেন এটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল, কিন্তু সেই অভিযোগ এর গুরুত্ব কাতারের কাছে নেই বললেই চলে।