বাংলাহান্ট ডেস্ক : প্রাচীন যুগে মানুষের খাদ্যাভাস কেমন ছিল? বর্তমানে তা নিয়ে কম কৌতুহল নেই মানুষের। আর তা নিয়ে প্রতিনিয়ত গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন গবেষকেরা। এবার সেই রকমই একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এল গবেষকদের। ৮ হাজার বছর আগেও রুটি খেতেন মানুষেরা। মিলল প্রমান। সেই রুটি কেমন হতো? কী দিয়ে বানানো হতো? সবই তথ্যই উঠে এসেছে গবেষকদের হাতে।
এই রুটির আবিষ্কার হয়েছে তুরস্কে। ৮,০০০ বছরেরও বেশি পুরোনো রুটি হাত এসেছে গবেষকদের। তবে পুরো গোটা রুটি পাননি গবেষকেরা। একটা খন্ড পেয়েছেন মাত্র। আর ওই খন্ড দেখে গবেষকরা জানতে পেরেছেন রুটিটি সেঁকা হয়নি। রুটিটি এমন ভাবে বানানো হয়েছিল যে তা এতগুলো বছর পরেও একেবারে অক্ষত রয়েছে।
আরোও পড়ুন : হোম সেন্টার নাকি বাইরের স্কুল? কী হবে সেমিস্টার সিস্টেমের উচ্চমাধ্যমিকে? পড়ুয়াদের জন্য বড় খবর
তবে প্রত্নতাত্ত্বিকরা দাবি করেছেন, এই খন্ডটি ছাড়া আর অনুরুপ কোনও খন্ড দেখা যায়নি। এই আবিষ্কার যে গোটা বিশ্বের জন্য একটা বড় বিস্ময়কর আবিষ্কার তা বলার অপেক্ষা রাখে না। একই কথা জানিয়েছে, তুরস্কের গাজিয়ানটেপ ইউনিভার্সিটির জীববিজ্ঞানী সালিহ কাভাক-ও। আবিষ্কার হওয়া এই রুটিটি কেমন ছিল?
আরোও পড়ুন : ব্যর্থ ভিকি-অনিল-বিজয়রা, বাংলার টোটা হলেন সেরা সহঅভিনেতা! আবেগে ভাসলেন অভিনেতা
আকৃতিতে গোলাকার, আর স্পঞ্জের মত নরম। এমনটা জানিয়েছে, তুরস্কের নেকমেটিন এরবাকান ইউনিভার্সিটি সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারের একটি বিজ্ঞপ্তি।এছাড়া সিএনএনের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আবিষ্কার হওয়ার রুটিটি ৮,৬০০ বছরের পুরনো। তুরস্কের ঠিক কোন জায়গা থেকে উদ্ধার হয়েছে এই রুটির খন্ডটি?
বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন এই ৮,৬০০ বছরের পুরনো রুটিটি আবিষ্কার হয়েছে, তুরস্কের মেকান ৬৬ নামের একটি এলাকা থেকে। দক্ষিণ তুরস্কের কোনিয়া প্রদেশের একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান চাতালহাইউক-এ অবস্থিত এই মেকান ৬৬। রুটিটির মধ্যে উদ্ভিদ উপাদান এবং গাঁজন সূচক উভয়ই রয়েছে। আজ যেভাবে রুটি প্রস্তুত করা হয় ঠিক একই পদ্ধতিতে ৮৬০০ বছর আগেও রুটি প্রস্তুত করা হতো বলে দাবি প্রত্নতাত্ত্বিকদের।
কারণ, তাঁরা পেরেছেন, সেই সময় রুটিটি বানানোর জন্য ময়দা এবং জল ব্যবহার করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, এটিকে মেখে কিছুক্ষণ রেখে দেওয়া হয়েছিল বলেও দাবি তাদের। তারপর উনুনে সেঁকা হত। তবে জানেন, শুধু রুটি নয়, পাওয়া গিয়েছে একটা উনুনের ভগ্নপ্রায় অংশ-ও। উনুনটি তৈরি করা হয়েছিল প্রাচীন মাটির ইট দিয়ে।
আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৬৬০০ সালের বলে দাবি করা হয়েছে প্রতিবেদনে। আর ওই উনুনের ঠিক পাশেই রুটির খন্ডটি পড়েছিল বলে দাবি প্রত্নতাত্তিকদের। ‘আমরা বলতে পারি যে এটিই বিশ্বের প্রাচীনতম রুটি।’ হ্যাঁ এমনটাই দাবি করেছে, তুরস্কের আনাদোলু ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক প্রত্নতাত্ত্বিক আলী উমুত তুর্কান।