বাংলাহান্ট ডেস্কঃ কর্মফল দাতা শনিদেবের (Shanideb) রোষানল থেকে সকলেই পরিত্রাণ পেতে চায়। অনেকের জীবনে এই শনির দশা ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে। কোন কিছুতেই মুক্তিলাভ সম্ভব হয় না। তবে রাশি হিসাবে যদি দেখা হয়, তাহলে কিছু কিছু নিয়ম মান্য করলে, সেই সকল মানুষ জীবনে সামান্য তম হলেও আনন্দ অনুভব করতে পারবেন।
যেমন বিভিন্ন রাশির মানুষের জন্য বিভিন্ন নিয়মের কথা এখানে বলা হয়েছে।
বৃষ রাশি- এই রাশির মানুষজন যদি প্রতি শনিবার করে ছোলা ও গুড় দান করেন, তাহলে আপনি শনির দোষ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
কর্কট রাশি- কর্কট রাশির অন্তর্ভুক্ত মানুষজন প্রতি শনিবার করতে একটি কুকুরকে রুটি খাওয়ালে, অনেক উপকার পেতে পারেন।
মেষ রাশি- শনিবার নুন ও তেল দান করতে হবে, মেশ রাশির মানুষজনকে।
সিংহ রাশি- সিংহ রাশির মানুষজনকে তাঁদের সাধ্যমত কোন বৃদ্ধাশ্রমে দান ধ্যান করতে হবে। এছাড়া প্রতি শনিবার করে অথবা যেকোনো সময়ে পাখির জন্য শস্য ও জল ঘররে বাইরে রাখতে হবে।
ধনু রাশি- এই রাশির মানুষজনকেও দান ধ্যনের মধ্যেই থাকতে হবে। তবে শনিবার আশ্রমে তার সামর্থ্য অনুযায়ী করলে ভালো হবে। এর পাশাপাশি প্রবীণদেরকেও সেবা করতে হবে।
মীন রাশি- শনিবার করে গোশালায় অর্থ ও খাবারের দান করতে হবে এবং দুঃস্থদের সাহায্য করতে হবে
কন্যা রাশি- এই রাশির জাতককে প্রতি শনিবার কুমারী আদিবাসীদের মন্দিরে বা কোনও দরিদ্র ব্যক্তিকে ভাত দান করা উচিত।
কুম্ভ রাশি- দরিদ্রদের মিষ্টি খাওয়াতে হবে এবং সেই সঙ্গে প্রতি শনিবার মন্দিরে তেল দান করতে হবে।
মিথুন রাশি- শনিবার করে খাবার ও কাপড় দান করলে শনিদেবের রোষানল থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
তুলা রাশি- এই রাশির মানুষদেরকেও কুম্ভ রাশির মানুষজনের মতো শনি মন্দিরে তেল দান করা উচিত এবং দরিদ্র লোকদের কিছু মিষ্টি খাওয়ানো উচিত।
মকর রাশি- ময়দার চাড়া বানিয়ে মাছকে খাওয়াতে পারেন।
বৃশ্চিক রাশি- অভাবী মানুষদের সাহায্য করার পাশাপাশি পাখিদের খাওয়ান।