বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দেবতা সূর্য (Surya Dev), হিন্দুদের ৩৩ কোটি দেব দেবীর মধ্যে এক এবং অভিন্ন দৃষ্টান্ত দেবতা হলেন সূর্য দেব। সূর্য দেবতাকে শক্তি এবং তেজের আধার রূপে পূজা করা হয়। বলা হয় জীবনশক্তি, মানসিক শান্তি, শক্তি এবং জীবনে সাফল্য নিয়ে আসে সূর্য দেবের উপাসনা।
পৌরাণীক বেদ অনুসারে পৃথিবীর প্রাণ এবং ঈশ্বরের চক্ষু হিসাবে সূর্যকে গণ্য করা হয়। দেবতা সূর্যকে (Surya Dev) রোগ বিনাশকারী হিসাবে স্মরণ করা হয়। বলা হয়, আকাশে সূর্য উদীয়মান হওয়ার পূর্বে পবিত্র গঙ্গা স্নান ব্যক্তিকে সকল রোগ ব্যাধি থেকে মুক্তি দেয়। সেইসঙ্গে ব্যক্তি সুস্বাস্থ্যের অধিকারীও হন।
স্নান সেরে উদীয়মান সূযের দিকে তাকিয়ে ঘিয়ের প্রদীপ, লাল ফুল, কর্পূর এবং ধূপ সহযোগে সূর্য দেবতার আরাধনা করলে দেবতা সন্তুষ্ট হবেন। কথিত আছে, দেবতা সন্তুষ্ট হলে সুস্বাস্থ্যের দীর্ঘায়ু ও সাফল্য প্রদান করে থাকেন।
সূর্য দেবের (Surya Dev) উপাসনা নিয়ে পুরাণে এক কাহিনী বর্ণিত আছে। যেখানে বলা হয়েছে, শ্রীকৃষ্ণ (sri kishna) পুত্র শম্ভ প্রভূত বলের অধিকারী ছিলেন। সর্বদাই নিজের শারীরিক শক্তি নিয়ে গর্ব বোধ করতেন। একদা দুর্বাসা মুনি শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে সাক্ষাতের উদ্দ্যেশ্যে বেরিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে তপস্যারত দুর্বাসা মুনি শারীরিক ভাবে অত্যন্ত দুর্বল ছিলেন।
সেই দুর্বল শীর্ণকায় দুর্বাসা মুনিকে অপমান এবং পরিহাস করে নিজের শক্তি নিয়ে গর্ব করতে থাকেন শ্রীকৃষ্ণ পুত্র শম্ভ। এই ঘটনায় ক্রদ্ধ দুর্বাসা মুনি শ্রীকৃষ্ণ পুত্র শম্ভকে কুষ্ঠরোগের অভিশাপ দেন। ছেলের এই করুন দুর্দশা দেখে ভগবান শ্রী কৃষ্ণ সূর্য দেবতার স্মরণাপন্ন হন।
পিতা শ্রী কৃষ্ণের কথামত পুত্র শম্ভ সূর্য দেবতার উপাসনা শুরু করেন। যার দ্বারা সে অল্প সময়ের মধ্যেই এই কঠিন ব্যাধী থেকে মুক্তি লাভ করে। তাই দেবতা সূর্যকে রোগ নিরাময়কারী বলেও অভিহিত করা হয়।