লকডাউনে কাজ হারিয়ে দৈনিক ৪০০ টাকা মজুরিতে ক্ষেতে কাজ করছেন প্রতিশ্রুতিমান লেখক নবনাথ গোরে (nabanath gore)। ৩২ বছরের এই তরুন ২০১৮ সালেই পেয়েছিলেন সাহিত্য আকাদেমি যুব পুরস্কার। কিন্তু করোনা তার হাত থেকে কলম কেড়ে নিয়ে ধরিয়েছে কাস্তে।
মহারাষ্ট্রের সাঙ্গলি জেলার বাসিন্দা নবনাথ গোরের বয়স মাত্র ৩২। গত মার্চ মাস পর্যন্ত তিনি আহমেদনগর জেলার একটি কলেজে লেকচারার পদে নিযুক্ত ছিলেন। কিন্তু চুক্তিভিত্তিক লেকচারার হওয়ায় এই মুহুর্তে তিনি কর্মহীন। বাধ্য হয়ে ক্ষেতে জনমজুর হিসাবে কাজ করছেন।
তিনি ‘ফেসাতি’ নামের এক উৎকৃষ্ট উপন্যাসের লেখক। কোলহাপুর জেলার শিবাজি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মারাঠি ভাষায় তিনি স্নাতকোত্তর করেছেন। মাস্টার্স পড়ার সময় তিনি তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘ফেসাতি’ লেখা শুরু করেছিলেন। বইটি ২০১৭ সালে প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথেই প্রচুর সমাদৃত হয়ম পরের বছর সাহিত্য একাডেমী যুব পুরষ্কারে ভূষিত হন তিনি।
নবনাথ এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, পুরষ্কার পাওয়ার পরে আমি আহমেদনগর জেলার একটি কলেজ থেকে চুক্তিভিত্তিক লেকচারার হিসাবে চাকরি পাই। লেকচারার হিসাবে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা পেতাম। ফেব্রুয়ারিতে বাবা মারা যাওয়ার পর আমার ঘাড়ে মা ও বিকলাঙ্গ দাদার দ্বায়িত্ব এসে পড়ে। অন্যদিকে লকডাউন হওয়ায় আমার চাকরিও চলে যায়। তাই অবশেষে আমি এই কাজ করতে বাধ্য হয়েছি।
একান্ত সাক্ষাৎকারে নবনাথ জানিয়েছেন, ছাত্রজীবনেও তিনি টাকার জন্য এটিএম গার্ডের চাকরি করেছেন। তার লেখা ফেসাতি উপন্যাসটিও তার মতই এক ছাত্রকে নিয়ে। যে সব কষ্ট সহ্য করেও পড়াশোনা শেষ করেন