বাংলার মুকুটে নতুন পালক, সামগ্রিক শিশুশিক্ষায় দেশের সেরা হল পশ্চিমবঙ্গ, দরাজ সার্টিফিকেট মোদী সরকারের

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বর্ষশেষে একের পর এক পালক জুড়ছে বাংলার (west bengal) মুকুটে। ইউনেস্কোর পক্ষ থেকে কলকাতার দুর্গাপুজো আবহমান ঐতিহ্যের তকমা পেতে না পেরেই এবার সামগ্রিক শিশুশিক্ষায় দেশের সেরা হল বাংলা। আন্তর্জাতিক স্তর থেকে নয়, এই সম্মান দিল খোদ কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদীর সরকার।

এই রিপোর্ট পেশ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর ইকোনমিক অ্যাডভাইসরি কাউন্সিলের অন্যতম অধিকর্তা বিবেক দেবরায়। যেখানে স্কুলের পরিকাঠামো, শিশুদের শিক্ষার মান, শিশুদের স্বাস্থ্য- এইসকল ৫ টি বিষয় বিবচনা করেছে প্রধানমন্ত্রীর ইকোনমিক অ্যাডভাইজারি কাউন্সিল। এই কাউন্সিল আবার বড় রাজ্য, ছোট রাজ্য, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ও উত্তর-পূর্বের রাজ্য- হিসাবে রাজ্যগুলোকে চার ভাগে ভাগ করেছে।

যেখানে ফাউন্ডেশনাল লিটারেসি ও নিউমেরেসি সূচকে প্রথম স্থানে রয়েছে বাংলা। ১০ বছর পর্যন্ত শিশুদের শিক্ষার ক্ষেত্রে বড় রাজ্যগুলির মধ্যে বাংলার স্থান রয়েছে সর্বপ্রথম, পেয়েছে ৫৮.৯৫। আর এই তালিকায় সবথেকে নীচে রয়েছে বিহার। আবার সার্বিক শিশুশিক্ষার দিক থেকে ছোট রাজ্যগুলির মধ্যে সবথেকে প্রথমে রয়েছে কেরালা, পেয়েছে ৬৭.৯৫ এবং সবথেকে নীচে রয়েছে ঝাড়খণ্ড।

এই বিষয়ে আবেগান্বিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্যুইটে লেখেন, ‘বাংলার জন্য খুবই সুখবর এটা। ফাউন্ডেশনাল লিটারেসি অ্যান্ড নিউমেরেসিতে দেশের মধ্যে সবথেকে প্রথম স্থানে রয়েছে বাংলা। আমাদের শিক্ষা বিভাগের সকল শিক্ষক, অভিভাবক এবং সদস্যদের অভিনন্দন জানাই এই অসামান্য কৃতিত্বের জন্য’।

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে লাক্ষাদ্বীপ এবং উত্তর-পূর্ব রাজ্যের মধ্যে মিজোরাম রয়েছে শীর্ষে। এই রিপোর্টে বাংলা ভালো ফল করলেও, সার্বিক ভাবে ভারতের প্রাথমিক শিক্ষার করুণ দশা ফুটে উঠেছে। জাতীয় গড় ২৮.০৫ হওয়ার কথা থাকলেও, ৫০ শতাংশ রাজ্য এই গড় থেকে অনেকটাই পেছনে রয়েছে।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর