বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০২২ থেকে গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) জেল বন্দি রয়েছেন প্রাক্তন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। বর্তমানে দিল্লির তিহাড়ে রয়েছেন অনুব্রত ওরফে কেষ্ট। ফেব্রুয়ারি মাসেই গরু পাচার মামলায় ফের শুরু হতে চলেছে বিচার পর্ব। ওদিকে সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শতাব্দী রায় সাংবাদিক বৈঠক থেকে দাবি করেছিলেন, শীঘ্রই ছাড়া পাচ্ছেন অনুব্রত।
গত ২৩ জানুয়ারি বীরভূম জেলা নেতাদের নিয়ে কালীঘাটে নিজের বাড়িতে সাংগঠনিক বৈঠক ডাকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে অনুব্রতর পাশে দাঁড়িয়ে মমতা বলেছিলেন, কেষ্টকে স-সম্মানে পদে বহাল রাখতে হবে। একদিকে যখন প্ৰতি পদক্ষেপে জেল বন্দি কেষ্টর গুরুত্ব বোঝাচ্ছে দল, সেই আবহেই এবার অনুব্রত মণ্ডল এবং তার পরিবারের সদস্যদের মঙ্গল কামনায় বিশেষ হোম যজ্ঞের (Yajna) আয়োজন করছে জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেস (Trinamool Congress)।
তৃণমূল সূত্রে খবর, আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি বোলপুর রেল ময়দানে এই মহাযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১০ জন পুরোহিত আসছেন এই মহাযজ্ঞ করতে। ইতিমধ্যেই অনুব্রতর ছবি দিয়ে তৈরি করা একাধিক গেট সাজিয়ে ফেলা হয়েছে জেলায়। সেই অনুষ্ঠানে প্রায় দশ হাজার মানুষও উপস্থিত থাকবেন কেষ্টর মঙ্গল কামনায়।
জেলা জুড়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহ কেষ্টর সঙ্গে ছবি রয়েছে সদ্য গঠিত জেলার কোর কমিটির পাঁচ সদস্যদেরও। বর্তমানে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। আর এই সবটাই তৃণমূল যুব কংগ্রেসের উদ্যোগে করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এই সমস্ত কিছুর মধ্যেই প্রশ্ন উঠছে যে তাহলে কী এবার সত্যিই ছাড়া পাচ্ছেন অনুব্রত! কেন হঠাৎ অনুব্রত ছাড়া পাচ্ছেন বলে মন্তব্য করলেন শতাব্দী? তাহলে কী তিনি কোনও সূত্র মারফত এই খবর পেয়েছে? আর তাই কেষ্টর মঙ্গল কামনায় এই মহাযজ্ঞ করা হচ্ছে? এই সমস্ত জল্পনাতেই এখন সরগরম জেলা রাজনীতি। তবে এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তৃণমূলের কোনও নেতাই।
প্রসঙ্গত ২০২২ সালের আগস্ট মাসে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। প্রথমে আসানসোল সিবিআই আদালতে এই মামলা চলে। সেখানেই সংশোধনাগারে বন্দি ছিলেন তৃণমূল নেতা। এরপর তিহাড় জেলে দিল্লিতে নিয়ে আসা হয় অনুব্রতকে। সেখানে তাকে গ্রেফতার করে ইডিও। বর্তমানে তিহাড়েই রয়েছেন তৃণমূলের কেষ্ট।