বাংলাহান্ট ডেস্ক: কেজিএফ চ্যাপ্টার ১ এবং কেজিএফ চ্যাপ্টার ২ (KGF Chapter 2), দুটি ছবির পর সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে যশের (Yash) জনপ্রিয়তা। গোটা বিশ্বে ব্যবসার নিরিখে ১০০০ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে কেজিএফ চ্যাপ্টার ২। কন্নড় ইন্ডাস্ট্রির গণ্ডি পেরিয়ে ভারতের নতুন সুপারস্টার হয়ে উঠেছেন যশ।
কিন্তু অনেকেই জানেন না, জীবনে অনেক স্ট্রাগল করার পর এই উচ্চতায় এসে পৌঁছেছেন অভিনেতা। ফিল্মি ব্যাকগ্রাউন্ড ছিল না তাঁর। এক বাস চালকের ছেলে যশ ওরফে নবীন কুমার গৌড়া। সুপারস্টার হওয়ার অদম্য ইচ্ছে তাঁকে অভিনয় জগতে নিয়ে আসে।
বাবা মায়ের অনিচ্ছা সত্ত্বেও পড়াশোনা মাঝপথেই ছেড়ে অভিনয় করতে চলে এসেছিলেন যশ। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে খ্যাতনামা পরিচালক এস এস রাজামৌলি এক বিষ্ফোরক সত্য প্রকাশ করেন ‘রকি ভাই’ এর বাস্তব জীবন নিয়ে। যশের বাবা অরুণ কুমার এখনো পর্যন্ত বাস চালান।
রাজামৌলি বলেন, “আমি শুনে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম যে যশ একজন বাস চালকের ছেলে। এখনো পর্যন্ত তিনি বাস চালানোর পেশায় রয়েছেন। আমার মতে, যশের বাবা তাঁর থেকেও বড় একজন তারকা।”
অভিনেতা হওয়ার জন্য পকেটে মাত্র ৩০০ টাকা নিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিলেন যশ! সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, অভিনেতা হওয়ার এত ইচ্ছা কেন ছিল তাঁর। যশের কথায়, “অভিনেতা হলে যে অতিরিক্ত মনোযোগ পাওয়া যায় সবার, সিটি বাজানো এসব খুব ভাল লাগত আমার। যেমন খুশি সাজো প্রতিযোগিতায় নাম দিতাম আমি আর নাচও করতাম। আমার খুব আনন্দ হত। ওভাবেই শুরুটা হয়েছিল, আর আজ আমি এখানে।”
পরিবারের তরফে বাধা এসেছিল। বাবা মা ভেবেছিলেন, সিনেমার জগৎ ভাল নয়। কিন্তু অভিনেতা হওয়ার প্রচণ্ড ইচ্ছায় বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন যশ। বাবা মা ভেবেছিলেন ছেলে এক দুদিন, খুব বেশি হলে এক সপ্তাহ পরেই ফিরে আসবে।
কিন্তু অদম্য জেদ ছিল যশের। একটি থিয়েটার গ্রুপে যোগ দিয়ে ব্যাকস্টেজের কাজ শুরু করেন। স্ট্রাগল করতে করতেই আজ নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছেন যশ। পরপর ছবি হিট হচ্ছে তাঁর।