বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আগামী 18 জুলাই অনুষ্ঠিত হতে চলেছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। তার আগে এই নির্বাচনটিকে পাখির চোখ করেছে কেন্দ্র এবং বিরোধী, দুই পক্ষই। একদিকে কেন্দ্রের পদপ্রার্থী যেখানে দ্রৌপদী মুর্মু, সেখানে বিরোধী দ্বারা প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ যশবন্ত সিনহার নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সময়ে বিজেপি প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করেছে বহু অবিজেপি পার্টি, তবে যশবন্ত সিনহার দিকেও বেশ কয়েকটি দলের সমর্থন রয়েছে আর এবার তাঁর জন্য এল আরো একটি সুখবর।
বর্তমানে বিরোধী জোটের পদপ্রার্থীকে তাদের সমর্থন জানানোর কথা ঘোষণা করল তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি (টিআরএস) দল। এদিন রাষ্ট্রপতি পদে জন্য মনোনয়ন জমা দিতে চলেছেন যশবন্ত সিনহা। এই অনুষ্ঠানে থাকার কথা রয়েছে এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরির। এই অনুষ্ঠানেই টিআরএস দলের পক্ষ থেকে তাদের মুখ্যমন্ত্রী এবং সভাপতি যোগ দিতে চলেছেন বলে জানা গিয়েছে।
এই খবর মাঝেই এদিন আরো বেশ কয়েকটি দলের সমর্থন পাওয়ার ব্যাপারে আশাপ্রকাশ করেন যশবন্ত সিনহা। রাষ্ট্রপতি পদে জিতলে দেশের কৃষক থেকে বেকার যুবক, নারী এবং শ্রমিকদের উন্নতি সাধন করাই যে প্রধান উদ্দেশ্য হবে, একথা আগেই জানিয়েছিলেন তিনি। আর এদিন সেই প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “রাষ্ট্রপতি নির্বাচন থেকে নাম প্রত্যাহার করার কোন প্রশ্নই উঠছে না। আগামীতে দেশে যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হতে চলেছে, সেটি কোনো রকম ব্যক্তিগত লড়াই নয়। বর্তমানে দেশে যে সংকটময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তার বিরুদ্ধে লড়াই করা হলো আমাদের উদ্দেশ্য। বিজেপি সরকার যেভাবে স্বৈরাচারী মনোভাব দেখিয়ে চলেছে, তার বিরুদ্ধে দেশবাসীকে রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য।”
এদিন মনোনয়ন জমা দেওয়ার পূর্বে একদা সতীর্থ তথা বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদবানির সঙ্গেও দেখা করার কথা রয়েছে তাঁর। এক্ষেত্রে বিগত কয়েকদিনে আদবানির মেয়ে করোনা আক্রান্ত হওয়ায় দেখা করা যায়নি, তবে আজ দেখা করে তাঁর আশীর্বাদ নেবে বলে জানান যশবন্ত সিনহা। একইসঙ্গে এদিন তাঁর গলায় ধরা পড়ে ‘পুত্র’ প্রসঙ্গ। উল্লেখ্য, বাবা রাষ্ট্রপতি পদে লড়াই করলেও ছেলে জয়ন্ত সিনহা বর্তমানে বিজেপি সাংসদ। তবে এক্ষেত্রে সেই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ যশবন্ত সিনহা।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রসঙ্গে এদিন মুখ খুললেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। উল্লেখ্য, সর্বপ্রথম রাষ্ট্রপতি পদে লড়াই করার জন্য পাওয়ারের নাম স্থির করা হয়। তবে পরবর্তীকালে তিনি এ প্রসঙ্গে অসম্মতি জানান। এদিন নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আমরা যশবন্ত সিনহার নাম স্থির করেছি। এবার তাঁকে জেতানোর জন্য আমাদের সবকিছু উজাড় করে দিতে হবে। আমরা যদি সবাই মিলে লড়াই করতে পারি, তাহলে আমাদের জয় নিশ্চিত।”
এছাড়াও তিনি বলেন, “আমরা জেতার জন্য লড়াই করবো। ফলাফল যাই হোক না কেন, এখন ভেবে লাভ নেই। বর্তমানে আমাদের একটাই উদ্দেশ্য এবং সেটি হল, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য আমাদের প্রার্থী যশবন্ত সিনহাকে জয়ী করা।”