বাংলাহান্ট ডেস্ক: তীব্র অর্থ সঙ্কটে ভুগছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University)। এর মধ্যে যেই প্রাক্তনীরা দেশ বিদেশে ছড়িয়ে রয়েছেন, তাঁদের কাছে সাহায্য চেয়েছেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। এই মর্মে একটি চিঠিও প্রকাশ করেছেন তিনি। আর্থিক সঙ্কট এতটাই তীব্র যে গত ২৪ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৫ তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানেও এ নিয়ে সরব হন তিনি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন আচার্য-রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
৬৫ তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রাজ্যপালের সামনেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক সঙ্কট নিয়ে মুখ খুলতে দেখা গেল উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে। নিজের স্বাগত ভাষণে এ নিয়ে সরব হন তিনি। এ বার এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যুতের বিল নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। বছরে নাকি ১০ কোটি টাকা বিল মেটাতে হচ্ছে যাদবপুরকে।
কেন বছরে এত টাকা বিদ্যুতের বিল মেটাতে হচ্ছে, তার কোনও যুক্তিসঙ্গত কারণ খুঁজে পাচ্ছে না বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বারা গঠিত একটি কমিটি। খরচ কী ভাবে কমানো যায় ও আয়ের উৎসের সন্ধান করতে উপাচার্যের পরামর্শে ওই কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মপরিষদ।
প্রসঙ্গত, মাস কয়েক আগেই প্রাক্তনীদের চিঠি দিয়ে জানানো হয়, টাকার অভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় বিঘ্ন ঘটছে। পর্যাপ্ত অর্থ দেওয়া যাচ্ছে না বিভাগগুলিকে। এমনটাই জানিয়েছিলেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। এ বার বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচের হিসেব সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে কমিটি জানতে পেরেছে, বার্ষিক ১০ কোটি টাকার বিপুল অর্থ বিদ্যুতের বিল হিসেবে ব্যয় হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে কমিটির সদস্যরা জানতে পেরেছেন, এই বাবদ ছ’কোটি টাকার বেশি খরচ হওয়ারই কথা নয়। তাই প্রশ্ন উঠছে, বাড়তি চার কোটি টাকা বিল কেন মেটাতে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়কে? সূত্রের খবর, ক্যাম্পাসের বিভিন্ন বিভাগে লম্বা সময়ের জন্য বাতানকূল যন্ত্র চলে। এছাড়াও অনেক বিভাগে পাখা বন্ধ করা হয় না।
ফলে বিদ্যুতের বিল বাড়তে থাকে। আরও একটি দিক খতিয়ে দেখতে চায় কমিটি। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি বিদ্যুৎ চুরি হচ্ছে ক্যাম্পাস থেকে? এই দিকটি খতিয়ে দেখতেও সুপারিশ করতে চলেছে কমিটি। প্রত্যেকটি বিভাগের জন্য পৃথক মিটার বসানোর প্রস্তাবও কমিটি দেবে। এর ফলে বিদ্যুতের বিলের উপর নজর দেওয়া সহজ হবে। কোথাও বেশি বিদ্যুৎ খরচ হলে তা জানা যাবে।