বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কংগ্রেসের (Congress) প্রাক্তন সভাপতি তথা কেরলের ওয়ানাড থেকে কংগ্রেসের সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) একটি বয়ানের নিন্দা করে মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমি অফ আর্টসের ডাইরেক্টর যোগেশ সোমেন (Yogesh Soman) এখন বড় বিপাকে পড়েছেন। যোগেশ সোমেন বীর সাভারকারকে নিয়ে দেওয়া রাহুল গান্ধীর বয়ানের নিন্দা করেছিলেন। উল্লেখ্য, রাহুল গান্ধী ঝাড়খণ্ডের নির্বাচনী প্রচারের সময় দেশে ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে যাওয়ার জন্য দেশকে রেপ ক্যাপিটাল বলেছিলান। এরপর বিজেপি আর বিজেপির সহযোগী দল রাহুল গান্ধীর এই বয়ান নিয়ে রাহুলের কাছে ক্ষমার দাবি করেছিল।
ক্ষমা চাওয়ার দাবি ওঠার পর রাহুল গান্ধী একটি নির্বাচনী প্রচারে বলেন, ‘আমার নাম রাহুল সাভারকার না, রাহুল গান্ধী। আমি ক্ষমা চাইব না।” সাভারকারকে নিয়ে রাহুল গান্ধীর এই বয়ানের তীব্র নিন্দা করে যোগেশ সোমেন ১৪ ডিসেম্বর সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন। ওই ভিডিওতে সোমেন বলেছিলেন, ‘আপনি সাভারকার তো নাই, আর সত্যি এটা হল, আপনি প্রকৃত গান্ধীও নন।”
এই পোস্ট নিয়ে কংগ্রেস এবং বাম দলের ছাত্র সংগঠন ডাইরেক্টর যোগেশ সোমেনের ইস্তফার দাবি করে। শেষ পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে উদ্ভব ঠাকরের সরকার গঠন হওয়ার পর মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর সুহাস পেডেনকর রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে বয়ান দেওয়ার জন্য ডাইরেক্টর যোগেশ সোমেনকে বরখাস্ত করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। এই কমিটি সোমেনের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখবে।
যদিও এই বিতর্ক নিয়ে যোগেশ সোমেন মিডিয়ার সামনে বলেন, প্রথমে সমস্ত তথ্য তদন্তকারী দলের সামনে পেশ করব আর এরপর মিডিয়ার সাথে কথা বলব। যোগেশ সোমেনের বিরুদ্ধে নেওয়া এই পদক্ষেপকে বিজেপি দুর্ভাগ্যজনক বলেছে। বিজেপি শিবসেনা, কংগ্রেস আর এনসিপির কাছে জিজ্ঞাসা করেছে যে, সোমেনের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ কি অসহিষ্ণুতা নয়?
কিন্তু রাজ্য সরকার এই পদক্ষেপকে সঠিক জানিয়েছে। ঠাকরে সরকারের ক্যাবিনেট মন্ত্রী নবাব মালিক বলেন, মহারাষ্ট্র সরকারে কার্যরত আধিকারিক কোন দল অথবা কোন সংগঠনের বিচারধারাকে প্রমোট করবে, সরকার তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবে। এমনকি তাঁকে সরকারি চাকরিও ছাড়তে হবে। এই পুরো ঘটনায় সাভারকারের আদর্শে আদর্শিত শিবসেনা মুখে কুলুপ এঁটেছে।