‘অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরির পর কাশী-মথুরাও জেগে উঠছে’, বললেন যোগী আদিত্যনাথ

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতকাল কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে নতুন করিডর উদ্বোধন করতে হাজির হন উত্তরপ্রদেশ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। আর সেখানে উপস্থিত হয়েই রাজ্যে শান্তির বাতাবরণ তুলে ধরার পাশাপাশি অযোধ্যা রাম মন্দির এবং লাউডস্পিকার বিতর্ক প্রসঙ্গেও বক্তব্য রাখতে শোনা যায় তাঁকে। মন্দিরে নতুন করিডর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসাও শোনা যায় যোগীর গলায়।

গতকালের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে উত্তরপ্রদেশ মুখ্যমন্ত্রী অযোধ্যার রাম মন্দির প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেন, “রাম মন্দির তৈরি হওয়ার পর থেকে মথুরা, বৃন্দাবন সব কিছুই জেগে উঠেছে। সকলকে নিয়েই আমাদের এগোতে হবে।” অনুষ্ঠান চলাকালীন উত্তরপ্রদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতির কথা উঠে আসে যোগীর বক্তব্যে। তিনি বলেন, “আমাদের রাজ্যে বর্তমানে সকল ধর্মের মানুষ শান্তিতে এবং সবার সঙ্গে মিলেমিশে রয়েছে। এখানে যেমন একাধারে রামনবমী এবং হনুমান জয়ন্তী উৎসব পালিত হচ্ছে, ঠিক তেমনিভাবে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরাও শান্তিপূর্ণভাবে ঈদ পালন করে চলেছে। এই সকল কর্মকাণ্ডই সফল হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দূরদৃষ্টির কারণে।”

রাস্তায় নামাজ পড়া প্রসঙ্গে আদিত্যনাথ বলেন, “সম্প্রতি রাস্তায় নমাজ পড়া বারণ করা হয়েছে। আমরা জানি, নমাজ পড়ার জন্য একাধিক ধর্মীয় স্থান রয়েছে, সেখানে যে যার মত করে প্রার্থনা করতে পারেন। কিন্তু রাস্তায় তা পড়া উচিত নয়। আমরা সাধারন মানুষের স্বার্থে সব রকম সিদ্ধান্ত নি এবং সেই কারণেই বর্তমানে উত্তরপ্রদেশের সকল মানুষ সুখে-শান্তিতে রয়েছে। রাজ্যে হিংসার কোনো ঘটনা নেই।”

উল্লেখ্য, কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে নতুন করিডর তৈরি করার ফলে এবার থেকে প্রতিদিন 1 লাখের উপর মানুষ এখানে প্রবেশ করতে পারবেন। সেই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “যেদিন থেকে অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরি করা শুরু হয়েছে, তারপর থেকে কাশী, মথুরা এবং বৃন্দাবন ধাম গুলি ক্রমশ জেগে উঠেছে। আমাদেরকে এর সাথে এগিয়ে যেতে হবে।”

এছাড়াও এদিন যোগীর বক্তব্যে উঠে আসে লাউডস্পিকার প্রসঙ্গ। সম্প্রতি, দেশে লাউডস্পিকার নিয়ে একাধিক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, বিভিন্ন ধর্মীয় স্থান থেকে লাউডস্পিকার খুলে নেওয়ার বিষয় নিয়ে জলঘোলা হয়েছে বিস্তর। প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশে সম্প্রতি বিভিন্ন ধর্মীয় স্থান গুলি থেকে লাউডস্পিকার খুলে সেগুলি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দান করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তাদের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “পরিবেশের উপর আমাদের বিশেষ নজর দেওয়া দরকার। সেই কারণে অপ্রয়োজনীয় শব্দ থেকে পরিবেশকে আমাদের মুক্ত করতে হবে আর তার জন্য আমাদের সবার ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।”


Sayan Das

সম্পর্কিত খবর