বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কর্ণাটকে হিজাব বিতর্কের আলোচনা পুরোদমে। এদিকে, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে হিজাব বিতর্কে বলেছেন যে, দেশ শরিয়ত নয়, সংবিধান দিয়ে চলবে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন, দেশের ব্যবস্থা চলবে সংবিধান দিয়ে, শরিয়ত দিয়ে নয়। প্রতিটি সংস্থার নিজস্ব ড্রেস কোড প্রণয়নের অধিকার রয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা চলবে।
উল্লেখ্য, হিজাব বিতর্ক শুরু হয়েছিল কর্ণাটকের উডুপি থেকে। সেখানে হিজাব পরিহিত ছাত্রীদের ক্লাসে প্রবেশের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখিয়েছে বাকি পড়ুয়ারা। হিজাবের প্রতিবাদে কয়েকজন পড়ুয়া গেরুয়া স্কার্ফ পরে কলেজে প্রবেশ করেন। এরপর একই ঘটনা ঘটে উডুপির অনেক স্কুল-কলেজে। একইসঙ্গে মুসলিম পড়ুয়ারা হিজাবকে তাদের ধর্মের অংশ হিসেবে বলছে এবং বলছে সংবিধান তাদের ধর্ম পালনের অনুমতি দিয়েছে।
অন্যদিকে, কর্ণাটক হাইকোর্ট রাজ্যে হিজাব নিয়ে চলা হট্টগোলের মধ্যে বড় কথা বলেছে। হিজাব নিয়ে আন্দোলনকারী সব শিক্ষার্থীকে আন্দোলন ছেড়ে ক্লাসে ফিরে যেতে বলেছে আদালত।
বৃহস্পতিবার কর্ণাটক হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ঋতু রাজ অবস্থি, বিচারপতি কৃষ্ণ এস দীক্ষিত এবং বিচারপতি জেএম খাজির বেঞ্চ হিজাব মামলার শুনানি করেন। শুক্রবার এই শুনানি শেষে জারি করা লিখিত আদেশের অনুলিপি দেওয়া হয়। আদালত বলেছে, শিগগিরই শেষ হতে চলেছে এ বছরের শিক্ষাপঞ্জি। এমতাবস্থায় আন্দোলন চালিয়ে প্রতিষ্ঠান বন্ধ না করে ক্লাসে ফিরে পড়ুয়াদের স্বার্থ রক্ষা করাই ভালো হবে।
আদালত বলেছে, ‘আমরা রাজ্য সরকার এবং সমস্ত অংশীদারদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে এবং ছাত্রদের তাড়াতাড়ি ক্লাসে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। এর পাশাপাশি আমরা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থীকে গেরুয়া স্কার্ফ, গামছা, হিজাব, ধর্মীয় পতাকা বা অনুরূপ জিনিসপত্র নিয়ে ক্লাসে আসতে নিষেধ করছি।’ আদালত স্পষ্ট করে বলে, এই আদেশ শুধুমাত্র সেইসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধ, যেখানে কলেজ উন্নয়ন কমিটি পড়ুয়াদের ড্রেস কোড/ইউনিফর্ম নির্ধারিত করে রেখেছে।