বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি, সারাদেশে লাউডস্পিকার বিতর্ক বেশ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। ধর্মীয় স্থানে লাউডস্পিকার ব্যবহারকে বন্ধ করার বিষয় মত প্রকাশ করে প্রথম খবরের শিরোনামে আসেন মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা প্রধান রাজ ঠাকরে। এমনকি, মসজিদে লাউডস্পিকার ব্যবহার করা হলে হিন্দুদের ধর্মীয় স্থানে হনুমান চল্লিশা বাজানোর হুমকি পর্যন্ত দেন তিনি। এরপর গোটা মহারাষ্ট্র জুড়ে শুরু হয় বিতর্ক, এমনকি সেই আঁচ উত্তরপ্রদেশ হয়ে বাংলাতেও এসে পৌঁছায়। তবে এবার লাউডস্পিকার নিয়ে একটি ভালো পদক্ষেপ নিতে চলেছে যোগী সরকার।
উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন ধর্মীয় স্থল থেকে লাউডস্পিকার গুলি সরিয়ে সেগুলিকে স্কুল প্রতিষ্ঠানে দান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নতির জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে মত তাদের। গোরক্ষপুর এবং প্রয়াগরাজের মতো জায়গায় ইতিমধ্যে সেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে এবং দ্রুত রাজধানী লখনউ-তেও তা শুরু হতে চলেছে।
এ বিষয়ে এদিন গোরক্ষপুর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বিজয় আনন্দ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশে ধর্মীয় স্থান থেকে লাউডস্পিকার গুলিকে খুলে নিয়ে আমরা সেগুলি গোরক্ষনাথ কন্যা প্রাথমিক বিদ্যালয়কে দান করেছি। ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়ে আসতে উৎসাহিত করা যাবে এর মাধ্যমে। এছাড়াও বিভিন্ন প্রকল্প এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্পর্কে গোটা এলাকাকে অবগত করার জন্য এটি ব্যবহার করতে পারে তারা।”
যোগী সরকারের এই নির্দেশের পর মন্দির এবং মসজিদের বিভিন্ন ধর্মগুরুরাও এই মহৎ কাজে হাত লাগানো শুরু করেছেন। ধর্মীয় স্থান থেকে খুলে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লাউডস্পিকার লাগানোর পরিকল্পনা ভবিষ্যতে অনেক কাজে লাগবে বলে মত তাদের। এক্ষেত্রে স্কুলে প্রার্থনার সময় এবং খেলাধুলা বা অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এটি ব্যবহার করা যাবে।
এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট শেয়ার করেন বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা রবি কিষান। গোরক্ষপুর কন্যা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের হাতে লাউডস্পিকার তুলে দেওয়ার মুহূর্তের ছবি তুলে ধরে তিনি লেখেন, “গোরক্ষনাথ মন্দির থেকে লাউডস্পিকার খুলে সেটিকে স্কুল প্রতিষ্ঠানে দান করার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।”