বাংলা হান্ট ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) আর বিক্রি করা যাবে না হালাল (Halal) করা দ্রব্য! যোগীরাজ্যে শীঘ্রই হালাল সার্টিফিকেশন (Halal Certification) সংক্রান্ত পণ্য বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে। জানা গিয়েছে, ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) খোদ নিজে এই বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।
উত্তরপ্রদেশে যে সকল সংস্থা তেল, সাবান, টুথপেস্ট, মধু এবং অন্যান্য অনেক নিরামিষ পণ্যকে হালাল শংসাপত্র দিচ্ছে সেগুলির উপর ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, লখনউয়ে (Lucknow) হালাল শংসাপত্র প্রদানকারী ন’টি সংস্থার বিরুদ্ধে এফআই (FIR) দায়ের করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইপিসির ১২০বি, ১৫৩এ, ২৯৮, ৩৮৪, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১ এবং ৫০৫ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, হালাল ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড চেন্নাই (Chennai), জমিয়ত উলেমা হিন্দ হালাল ট্রাস্ট দিল্লি (Delhi), হালাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া মুম্বই (Mumbai), জমিয়ত উলেমা মহারাষ্ট্র মুম্বই ইত্যাদির নামে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ধর্মের নামে কিছু পণ্যে হালাল সার্টিফিকেট দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এই সমস্ত সংস্থার কর্মকাণ্ডের পিছনে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
হালাল কী? ইসলাম (Islam) ধর্ম অনুসারে যখন কোনও পণ্যে হালাল সার্টিফিকেশন দেওয়া হয়, তার অর্থ হল ওই পণ্যটি মুসলমানদের (Muslim) ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত। কারণ, তাদের ধর্মে হারাম এমন কিছুই এতে যোগ করা হয়নি। ইসলামিক দেশগুলিতে যে কোনও পণ্য রপ্তানির জন্য হালাল সার্টিফিকেশন প্রয়োজন। কিন্তু ভারতে নিরামিষ আইটেমগুলিতে কেন এটি ব্যবহার করা হয়েছে তা নিয়ে কোনও সদুত্তর নেই। সম্প্রতি ভারতীয় রেলে (Indian Railway) ভ্রমণের সময় এক যাত্রী প্রশ্ন তুলেছিলেন, কেন তাঁর চায়ের প্যাকেটে হালাল লেখা রয়েছে। সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই গোটা বিষয়টি নজরে আসে।