বাংলা হান্ট ডেস্ক : লোকসভায় পাশ হয়েছে তিন তালাক বিরোধী আইন অর্থাত্ এখন আর তিনটি শব্দে মুসলিম সমাজের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক ছেদ নয়। এ বার তিন তালাক দিলেই তা অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। যদিও এসবের থোরাই কেয়ার করে রমরমিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে তিন তালাক। কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে তিন তালাক আপাতত ফৌজদারি অপরাধ হিসেবেই গণ্য হয়েছে। কিন্তু তিন তালাক অপরাধ যোগ্য হলেও তিন তালাক পাওয়া মহিলার কী হবে? এভাবেই তিনি জীবন কাটাবেন? তাঁর ভরণপোষণের দায়িত্ব কে নেবে এ সমস্ত প্রশ্ন তো সকলের মাথাতেই ঘোরাফেরা করছিল
কিন্তু এরই মধ্যে এবার উত্তরপ্রদেশ সরকার তিন তালাক পাওয়া মহিলাদের জন্য এক অভিনব ব্যবস্থা নিয়ে আসতে চলেছে। জানা গিয়েছে এবার থেকে তালাক দেওয়া মহিলাদের যোগী সরকার ছয় হাজার টাকা করে পেনশন দেবে। যদিও বার্ষিক পেনশন দেওয়া হবে ইতিমধ্যেই যোগী মন্ত্রিসভার বৈঠকে সেই প্রস্তাব আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এই পেনশন পেতে গেলে আর কী কী প্রয়োজন সেই সংক্রান্ত কোনও বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়নি, শুধুমাত্র তিন তালাকের মামলা দায়ের হওয়ার কপি জমা দিলেই হবে।
এই প্রকল্পের আওতায় প্রথম পর্যায়ে পাঁচ হাজার মহিলার হাতে পেনশন তুলে দেবে যোগী সরকার। 2019 সালের 1 আগস্ট তারিখে লোকসভায় তিন তালাক বিরোধী বিল পাশ হওয়ার পর আইনে পরিণত হয়েছে। যে আইনের আওতায় অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত হলে ব্যক্তি কমপক্ষে তিন বছরের জেল হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ রাজ্যের রাজধানী লখনউতে তিন তালাকে নির্যাতিত মহিলাদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। তাঁদের আগামী পরিকল্পনা সমন্ধ্যে জেনেছেন যোগী আদিত্যনাথ। রাজ্যের প্রতিটি জেলা থেকেই তিন তালাকে নির্যাতিতই মুসলিম মহিলাদের লখনউ ডাকা হয়েছিল। লখনউতে আজ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সংখ্যালঘু বহুল এলাকা গুলোতে স্কুল, ইন্টার আর ডিগ্রি কলেজ, পলিটেকনিক আর হোস্টেল গড়ার ঘোষণা করবেন।