বাংলাহান্ট হান্ট ডেস্ক : মাদ্রাসা (Madrasa) নিয়ে সমীক্ষা আদেশ বেশ কিছুদিন আগেই দিয়েছে যোগি সরকার (Yogi Government)। এরপর সম্পত্তির হিসাব হবে ওয়াকফ বোর্ডেরও (Waqf Board)। কিন্তু হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্ত? জানা যাচ্ছে, ওয়াকফ বোর্ডের বহু সম্পত্তিরই কোনও হিসাব নেই সরকারের কাছে। তাছাড়া বাকি রয়েছে খাজনাও। সে সবই এবার আসতে চলেছে উত্তরপ্রদেশ সরকারের আতস কাচের নিচে। যোগি সরকারের তরফ থেকে সমস্ত জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয় আগামী এক মাসের মধ্যেই সমীক্ষা করে ওয়াকফ বোর্ড সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য তুলে দিতে রাজ্য সরকারের হাতে।
জানা যাচ্ছে, উপসচিব সাকিল আহমেদ সিদ্দিকী সমস্ত জেলার আধিকারিকদের চিঠি লিখে নির্দেশ দেন ওয়াকফ বোর্ড আইন অনুসারে ওয়াকফের সমস্ত সম্পত্তির হিসাব রাজ্য সরকারের কাছে দাখিল করতে হবে। ১৯৬০ সালের ওয়াকফ বোর্ড আইনে বলা হয় সম্পত্তির বিষয়ে সমস্ত তথ্য রাজ্য সরকারকে জানাতে হবে। কিন্তু তা পালন করা হয় নি উত্তর প্রদেশে। এমনই দাবি সেই রাজ্য সরকারের।
গ্রাম সভা এবং নগপালিকার আওতায় থাকা সমস্ত জমি জনসাধারণের। মানুষের প্রয়োজনে সেগুলি ব্যবহার করা হয়। এই জমি কোনওদিনই ব্যক্তিগত সম্পত্তি হতে পারে না। এই জাতীয় জমি সবসময়ই খাস জমি হিসাবে বিবেচিত হয়। কিন্তু রাজ্য সরকারের দাবি এই রকম অজস্র খাস জমিকে ওয়াকফ বোর্ড নিজেদের সম্পত্তি বলে দাবি করে। তাছাড়া এই জমিগুলির সঠিক রাজস্বও পায় না সরকার। তাই জমিগুলিকেই আলাদা ভাবে চিহ্নিত করতে চাইছে যোগি সরকার।
গোটা দেশে ভারতীয় সেনা এবং ভারতীয় রেলের পর সবচেয়ে বেশি পরিমাণ জমি রয়েছে ওয়াকফ বোর্ডের হাতে। ওয়াকফ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম অফ ইন্ডিয়া জানায়, সবমিলিয়ে বোর্ডের হাতে ৮ লক্ষ ৫৪ হাজার ৫০৯ টি সম্পত্তি রয়েছে। আয়তনের দিক থেকে হিসাব করলে প্রায় ৮ লক্ষ একর সম্পত্তির মালিক ওয়াকফ বোর্ড। এই বিরাট পরিমাণ জমিকেই এবার সরকারি আতস কাচের তলায় আনতে চলেছে যোগি সরকার।