করুন দৃষ্টিশক্তির পরীক্ষা! এই ছবিতে লুকিয়ে থাকা মাছটিকে ৭ সেকেন্ডের মধ্যে খুঁজে পেলেই আপনি জিনিয়াস

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমানে প্রায়শই আমরা এমন কিছু ছবি দেখতে পাই যেগুলি আর পাঁচটা সাধারণ ছবির তুলনায় কিছুটা ভিন্ন হয়। এমনকি, ওই ছবিগুলি রীতিমতো অবাকও করে দেয় আমাদের। মূলত, ছবিগুলি অপটিক্যাল ইলিউশন (Optical Illusion) অর্থাৎ দৃষ্টিভ্রম ঘটায়। শুধু তাই নয়, ওই বিশেষ ছবিগুলিতে একটি নির্দিষ্ট ধরণের প্রতীক বা কোনো বিষয়কে অনুসন্ধান করতে হয় নেটিজেনদের।

এমতাবস্থায়, সাম্প্রতিক সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media)-তে ঢুঁ মারলে এহেন হাজার হাজার ছবি প্রতিদিন সামনে আসে। যেগুলি সমাধান করতে গিয়ে রীতিমতো কালঘাম ছুটে যায় সবার। এমতাবস্থায়, তীক্ষ্ণ মনের মানুষেরা সহজেই এই ধরণের ধাঁধার সমাধান করতে পারলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছবিগুলি এতটাই কঠিন থাকে যে অনেকেই এগুলির সঠিক উত্তর খুঁজে পান না।

সেই রেশ বজায় রেখেই এবার ঠিক ওইরকমই এক ছবি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নেটমাধ্যম। যেখানে জলের মধ্যে লুকিয়ে থাকা একটি মাছকে খুঁজে পেতেই রীতিমতো ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন নেটিজেনরা। এমতাবস্থায়, বর্তমান প্ৰতিবেদনে পাঠকদের উদ্দেশ্যে ওই ছবিটি উপস্থাপিত করছি আমরা।

এই ছবিতেই লুকিয়ে রয়েছে একটি মাছ: সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ওই ছবিটিতে কোনো জলাশয়ের ভেতরের ছবি ফুটে উঠেছে। যেখানে বিভিন্ন রকমের নুড়ি এবং পাথর দেখা গিয়েছে। যদিও, সেগুলির রং প্রায় একই। আর ওইখানেই উপস্থিত রয়েছে সেই মাছটিও। এমতাবস্থায়, আপনিও একবার মাছটিকে খোঁজার চেষ্টা করতেই পারেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে ৭ সেকেন্ডের নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সেটিকে খুঁজে বের করতে হবে। তবে, বারংবার চেষ্টা করার পরেও যদি আপনি মাছটিকে খুঁজে না পান তাহলেও চিন্তা নেই। কারণ, আমরা সেটির সঠিক অবস্থানটি জানিয়ে দিচ্ছি।

optical illusion solve (12)

এখানেই লুকিয়ে রয়েছে মাছটি: ওই ছবিটি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করলেই ওখানে উপস্থিত মাছটিকে খুঁজে পাওয়া সম্ভব। সেক্ষেত্রে বারংবার দেখতে হবে ছবিটিকে। মূলত, ওই ছবিতে থাকা মাছটি নিজেই একটি পাথরের মত দেখতে। অর্থাৎ, সেটি হল একটি স্টোন ফিশ। যেটিকে বিশ্বের সবথেকে বিষাক্ত মাছ হিসেবে বিবেচিত করা হয়। ছবিটির একদম মাঝেই রয়েছে সেটি। এমতাবস্থায়, ভালোভাবে বোঝার জন্য আমরা মাছটির অবস্থানটিকে একটি লালবৃত্তের মাধ্যমে দেখলাম। তবে, আমাদের দেখিয়ে দেওয়ার আগেই আপনি যদি নির্ধারিত ৭ সেকেন্ডের মধ্যে সেটিকে খুঁজে পেয়ে যান সেক্ষেত্রে আপনি নিঃসন্দেহে একজন জিনিয়াস।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর