বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দলীয় কর্মসূচীতে যোগদান করতে গিয়ে আলিপুরদুয়ারে দিলীপ ঘোষের (Dilip ghosh) কনভয়ে হামলা চালানো হয়। কালো পতাকা দেখিয়ে গো ব্যাক শ্লোগান দেওয়া হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের উদ্দেশ্যে। হামলায় তাঁর তিনটি গাড়ির কাঁচও ভেঙ্গে গিয়েছিল। অভিযোগের তীর উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে।
যতবার হামলা হয়েছে, বিজেপি তত এগিয়ে গেছে
কনভয়ে হামলা হওয়ায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সাংবাদিকদের জানিয়েছে, ‘আমার উপর হামলা কোন নতুন বিষয় নয়। ৫০ বার হামলা হয়েছে। যতবার হামলা হয়েছে, ততবার বিজেপি এগিয়ে গেছে। আমাদের সদস্যদের মধ্যে যে জোশ আছে, তাতে আমরা হামলা সহ্য করেই এগিয়ে গেছি। ১৮ জন MP জিতেছেন আমাদের। আমরা শ্লোগান দিয়েছিলাম, ‘১৯-এ হাঁফ আর একুশে সাফ’, মানুষজন হাঁফ করে দিয়েছে আর একুশে সাফ করতে হবে TMC-কে’।
মনোবল ভাঙ্গতে পারবে না
তিনি আরও বলেন, ‘ওঁরা যেভাবে আমাদের উপর হিংসাত্মক আক্রমণ করছে, তা কিভাবে সামাল দিতে হয়,তা আমরা জানি। আমাদের কর্মকর্তাদের মনোবল অনেক বেশি আছে, এটুকুতে আমাদের কিছু হবে না। রাজনৈতিক হিংসাকে বাংলা থেকে বন্ধ করতে এখানে পরিবর্তন প্রয়োজন। রাষ্ট্রীয় স্তরে এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, বাংলায় বিরোধী দলের রাজ্য সভাপতি এবং সাংসদদের কোন নিরাপত্তা নেই। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও ফোন করে আমার খোঁজ নিয়েছেন। আমি জানিয়ে দিয়েছি, চিন্তা করবেন না আমি ঠিক আছি। এভাবেই আমরা লড়ে যাব। গাড়ি ভাঙ্গতে পারবে, কিন্তু আমাদের মনোবল ভাঙ্গতে পারবে না’।
বাংলায় পরিবর্তনের প্রয়োজন আছে
রাজ্যের গণতন্ত্র এবং আইন শৃঙ্খলার উপর প্রশ্ন তুলে রাষ্ট্রপতি শাসনের কথা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘রাজ্যে গণতন্ত্র কোথায় আছে? আইন শৃঙ্খলা কোথায় আছে? এখন সাধারণ মানুষও রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানাচ্ছে। তারা সাহস করে বেরোতে পারছে না। তারউপর নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে, হিংসাও এগিয়ে আসবে। যেখানে গণতন্ত্র নেই, সাধারণ মানুষ, রাজনৈতিক কর্মীদের সুরক্ষা নেই, এটা তো চলতে পারে না। তাই বাংলায় পরিবর্তনের প্রয়োজন আছে’।