বাংলা হান্ট ডেস্ক: বছরের শুরু থেকেই বিশ্ববাসীর মনে ভয়ের কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে HMPV ভাইরাস । সকলের মনে এখন একটাই আতঙ্ক আবারো কি ২০২০ বেদনা দায়ক স্মৃতি ফিরে আসতে চলেছে? আবারো মৃত্যু মিছিল, সেই লকডাউনের পুনরাবৃত্তি ঘটবে? এমনই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে। আর এই আবহেই ফের আরো এক নয়া আতঙ্ক, মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে নতুন এক ভাইরাস, যার নাম “র্যাবিট ফিভার” (Rabbit Fever)। সম্প্রতি শোনা যাচ্ছে, আমেরিকায় অন্তত ৫০ শতাংশ সংক্রমণ বেড়েছে “র্যাবিট ফিভার”-এর। কি এই ভাইরাস? এর লক্ষণগুলোই বা কি? সতর্ক না হলে পড়তে পারেন বিপদে।
নতুন ভাইরাসের নাম ‘র্যাবিট ফিভার’ (Rabbit Fever)
বিশেষজ্ঞদের মতে, আমেরিকায় এই ভাইরাস (Virus) বেশ বড়সড় আকার নিয়েছে। তবে পারতপক্ষে এই রোগের আসল নাম হচ্ছে টিউলারেমিয়া। এটি একটি বিরল এবং সংক্রামক রোগ। সেন্সর ফট ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন অনুসারে, কয়েক বছরের মধ্যে এই রোগের সংক্রমণ তুলনামূলক ভাবে অনেক বেড়েছে। পরিসংখ্যান বলছে ২০০১ থেকে ২০১০ সালের তুলনায় ২০১১ থেকে ২০২২ এর মধ্যে টিউলারেমিয়ার সংক্রমণ বার্ষিক গড় ৫৬ শতাংশ বেড়েছে।
“র্যাবিট ফিভার” এই সংক্রমণ আসলে কি? চিকিৎসকদের মতে “র্যাবিট ফিভার” (Rabbit Fever) একপ্রকার ফ্রান্সিসে টুলারেনসিস ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট রোগের সংক্রমণ। এই রোগ যে কারোর শরীরেই আক্রমণ করতে পারে। মানুষ হোক কিংবা যেকোনো অন্যান্য প্রাণী সকলের শরীরেই থাবা বসাতে পারে এই সংক্রমণ বলে দাবি করছেন গবেষকরা। তবে এই ভাইরাস বেশি ছড়ায় খরগোশ, ইঁদুরের মধ্যে। এই সমস্ত প্রাণীদের মধ্যে থেকে সেই ভাইরাস অনেক সময় প্রবেশ করে মানুষের শরীরে। শুধু তাই নয়, চিকিৎসকদের মতে, দূষিত জলপান, ধুলো-বালি নোংরার মাধ্যমেও অনেক সময় এই রোগের জীবাণু মানব শরীরে আক্রমণ করতে পারে। এছাড়াও ল্যাবরেটরি এক্সপোজারের মাধ্যমেও এই সংক্রমণ ছড়াতে পারে। তাই এই বিষয়গুলি থেকে সাবধান থাকুন।
আরও পড়ুনঃ ‘আমি কী ভুল বলেছি?’ নেতাজির সঙ্গে মমতার তুলনা! নিজের বক্তব্যে অনড় কুণাল ঘোষ
এই রোগের লক্ষণ গুলি কি কি? এই ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করলে মারাত্মকভাবে প্রভাব ফেলে। কিন্তু প্রথম দিকে এই লক্ষণ সহজে ধরা পড়তে নাও পারে। তাই র্যাবিট ফিভারের (Rabbit Fever) বিশেষ কয়েকটি উপসর্গের কথা বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন। সেগুলি হচ্ছে-
১) জ্বর
২) মুখে, ত্বকে ঘা
৩) গলায় ব্যথা
৪) চোখ জ্বালা।
উল্লিখিত লক্ষণগুলি দেখা দেওয়া মাত্রই সাবধান হয়ে যান। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আরও পড়ুনঃ মাধ্যমিক পরিচালনায় বিরাট বদল! পর্ষদের নির্দেশ ঘিরে ক্ষোভ শিক্ষকমহলে
এই রোগ প্রতিরোধ করবেন কিভাবে? চিকিৎসকদের মতে, এই সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে ঘাস কাটার সময় অবশ্যই মাক্স ব্যবহার করা উচিত। এছাড়াও অন্যান্য সময়ও মাক্স পরার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। খরগোশ, কুকুর, ইঁদুর-অন্যান্য প্রাণীদের পরিচর্যার সময় গ্লাভস পরতে হবে। এছাড়াও চেষ্টা করুন অপরিশোধিত জলপান না করার। নিজেদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন তাতেই এই র্যাবিট ফিভার (Rabbit Fever) সঙ্রংক্রমণ করা যাবে। একেই HMPV, তার উপর এই নয়া সংক্রমণ মানুষের মনে আরও আতঙ্ক গ্রাস করছে।