আকাশপথেও ধীরে ধীরে প্রভাব বিস্তার! এবার আদানি গ্রুপ যা করল… জানলে হবেন ‘থ’

Published on:

Published on:

You will be surprised to know what Adani Group has done this time.
Follow

বাংলা হান্ট ডেস্ক: সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ব্যবসায়িক বিস্তার ঘটাচ্ছে আদানি গ্রুপ (Adani Group)। আদানি গ্রুপ শুধুমাত্র আর বিমানবন্দর পরিচালনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। ইতিমধ্যেই তারা বিভিন্ন সেক্টরে নিজেদের শক্তিশালী আধিপত্য বিস্তার করছে। ঠিক এই আবহেই এবার একটি বড় আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, আদানি গ্রুপ এবার আকাশে উড়ন্ত বিমান এবং সেগুলি ওড়ানোর জন্য পাইলটদের প্রশিক্ষণের ওপরও তার দখল শক্তিশালী করছে।

বড় পদক্ষেপ আদানি গ্রুপের (Adani Group):

সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ফ্লাইট সিমুলেশন টেকনিকস সেন্টার (FSTC)-এর সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশীদারিত্ব ৮২০ কোটি টাকায় অধিগ্রহণ করে আদানি গ্রুপ এভিয়েশন সেক্টরে আরেকটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। মূলত, আদানি ডিফেন্স সিস্টেমস অ্যান্ড টেকনোলজিস লিমিটেড (ADSTL) প্রাইম অ্যারো সার্ভিসেসের সহযোগিতায় এই পদক্ষেপ নিয়েছে। এই চুক্তিটি সমগ্র এভিয়েশন বাজারে সাড়া ফেলছে। বর্তমান প্রতিবেদনে এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপিত করা হল।

You will be surprised to know what Adani Group has done this time.

এটি কেবল চুক্তি নয়; ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি: জানিয়ে রাখি যে, আদানি গ্রুপের জন্য, এই অধিগ্রহণ কেবল একটি ব্যবসায়িক সম্প্রসারণ নয়, বরং ইকোসিস্টেম তৈরির একটি প্রচেষ্টা। FSTC কোনও ছোট কোম্পানি নয়। বরং, এটি ভারতের বৃহত্তম ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফ্লাইট ট্রেনিং কোম্পানি। যখন ভারতে পাইলট ঘাটতি বা প্রশিক্ষণের পরিকাঠামোর প্রয়োজনীয়তার বিষয় সামনে আসে, তখন FSTC-র মতো কোম্পানিগুলিই সেই শূন্যতা পূরণ করে।
কোম্পানিটির গুরুগ্রাম এবং হায়দরাবাদে অত্যাধুনিক সিমুলেশন সেন্টার রয়েছে। এদিকে, এই সংস্থা হরিয়াণার ভিওয়ানি এবং নার্নৌলে ফ্লাইং স্কুলও পরিচালনা করে। অর্থাৎ, এখন আদানি গ্রুপের হাতে থাকবে পাইলটদের মাটিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া থেকে শুরু করে আকাশে ওড়া পর্যন্ত সমস্ত পরিকাঠামো।

আরও পড়ুন: আর নেই চিন্তা! গ্রাহকদের স্বস্তি দিয়ে বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করল পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক, জানুন এখনই

FSTC-র বিশেষত্ব কী: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, FSTC-তে ১১ টি ফুল-ফ্লাইট সিমুলেটর এবং ১৭ টি ট্রেনিং এয়ারক্রাফ্ট রয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, তাদের ট্রেনিং প্রোগ্রাম কেবল ভারতের DGCA দ্বারাই নয়, বরং, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এভিয়েশন সেফটি এজেন্সি (EASA) দ্বারাও স্বীকৃত। এর অর্থ হল এখানে প্রশিক্ষিত পাইলটরা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতী পান। এমতাবস্থায়, আদানি এন্টারপ্রাইজেস বিশ্বাস করে যে সিমুলেটরবেসড প্রশিক্ষণ ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজন। এটি কেবল নিরাপদই নয়, বরং একটি আসল বিমান চালানোর চেয়ে অনেক সস্তাও। এই প্রশিক্ষণ দক্ষতা দ্রুত বৃদ্ধি করে। বিশেষ করে প্রতিরক্ষা এবং বাণিজ্যিক পাইলটদের প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রেও এটি ইতিবাচক।

আরও পড়ুন: সমস্ত জল্পনার অবসান! বিয়ে ভাঙল পলাশ-স্মৃতির! নেটমাধ্যমে কী জানালেন বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার?

সকল পরিষেবা এক ছাদের নিচে পাওয়া যাবে: এই চুক্তির সবচেয়ে বড় প্রভাব হবে আদানি গ্রুপ এখন এভিয়েশন সেক্টরে ‘ওয়ান স্টপ সলিউশন’ হয়ে উঠবে। আদানি ইতিমধ্যেই এয়ার ওয়ার্কস এবং ইন্ডামার টেকনিক্সের মতো কোম্পানির মালিক। যারা বিমান মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ (MRO) সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কাজ করে। এবার FSTC যোগ হওয়ার মাধ্যমে এই বৃত্তটি সম্পূর্ণ হল। এর অর্থ হল, কোম্পানিটিকে তার বিমানের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অন্য কোথাও যেতে হবে না এবং পাইলটদের প্রশিক্ষণের জন্য অন্য কোনও সংস্থার সন্ধান করতে হবে না। আদানি ডিফেন্স অ্যান্ড অ্যারোস্পেসের সিইও আশিস রাজবংশীও সামগ্রিক বিষয়টিকে ‘ইন্টিগ্রেটেড প্ল্যাটফর্ম’ তৈরির পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত করেছেন।