বাংলা হান্ট ডেস্ক: বৃষ্টি পড়েছে কি পড়েনি এম বাঙালি নজর গেড়ে বসেছে ইলিশ মাছের ওপর। এদিকে ইলিশের মরশুম শুরু হয় জুলাই মাস থেকে। কিন্তু এই ভরা বৈশাখেই পাতে আসতে শুরু করে দিয়েছে ইলিশ (Ilish Price)। আর তার দাম শুনে সাধারণ মধ্যবিত্তের কালঘাম ছুটছে। বাজারের কথা বললে জানিয়ে রাখি যে, এক মণ ইলিশের দাম ওঠেছে লাখ টাকা! একেবারে সোনার দরে বিকোচ্ছে ইলিশ। অথচ সেই মাছের সাইজও বেশ ছোট।
দাম বাড়ার একটা বড় কারণ এটা হতে পারে যে, ইলিশের বংশবিস্তার ও বড় আকার হওয়ার জন্য দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা জারি করে বাংলাদেশের সরকার। যদিও তাতে তেমন একটা লাভ হয়নি। উল্টে নিষেধাজ্ঞা উঠতেই সদলবলে নেমে পড়েন মৎস্যজীবীরা। তবে তাতে কি, প্রত্যাশা মতো মাছ পাওয়া যায়নি। নদীতে এখন মাছের খরা চলছে বলেই জানান তারা।
নদীতে খুব কম মাছই উঠছে, তাই স্বাভাবিক ভাবেই সেগুলোর দাম অনেকখানি বেশি থাকবে। সাথে কিছুকাল আগেও ইলিশ দেখা যেত, কিন্তু এখন আর তা দেখতে পাওয়া যায় না তেমন। তাই চাহিদা অনুযায়ী জোগান না থাকার কারণেই এত বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ মাছ।
কত দামে বিক্রী চলছে?
চাঁদপুরে সবচেয়ে বেশি মাছ ওঠে। চাঁদপুরের হাইমচরের চরভৈরবী থেকে মতলবের ষাটনল এলাকাতে পদ্মা-মেঘনা-যমুনার সংযোগস্থলে ৭০ কিলোমিটারের মধ্যে সব থেকে বেশি ইলিশ পাওয়া যায়। এবার সেখানেও ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না। তাই সেখানে মাছের আড়তে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। ৯০০ গ্রাম সাইজের ১ মন ইলিশের দাম ছুঁয়েছে লাখ টাকা। ১ কেজির থেকে বেশী ওজনের ইলিশের প্রতি কেজির জন্য দাম পড়ছে ২০০০ থেকে ২২০০ টাকা মতো।
আকারে একটু ছোট, অর্থাৎ ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম আকারের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৬০০-১৭০০ টাকা দরে। একদম ছোট, অর্থাৎ ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রামের আকারের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকা প্রতি কেজি থেকে। নদীতে মাছের আকাল থাকার কারণেই এমন হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্যজীবীরা। তবে এক্ষুনি আশা ছাড়ছেন না তারা। তাদের কথায়, নদীতে জল বাড়লে তখন অবস্থার উন্নতি হতে পারে। সেসময় দাম কমবে।