নাবালিকাকে বিয়ের অপরাধে খেটেছিল জেল, সেই ‘স্ত্রী’র অন্যত্র বিবাহের খবর পেতেই আত্মঘাতী তরুণ

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রেমের জন্য মানুষ কত কিছুই না করতে পারে! বাংলায় এই প্রবাদটি প্রচলিত থাকলেও বাস্তবে এই প্রসঙ্গে একাধিক ঘটনার সাক্ষী থাকি আমরা। সদ্য মালদহে ঘটে গেল এরকমই এক ঘটনা, যেখানে নাবালিকা মেয়ের প্রেমে এতটাই পাগল হয়ে পড়ে এক তরুণ যে তার অন্যত্র বিয়ে হওয়ার খবর পাওয়া মাত্রই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় সে।

ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের মানিকচক থানার চৌকি মীরজাতপুর অঞ্চলের পঁচিশা গ্রামে। এদিন সকালে গ্রামের বাসিন্দা সঞ্জয় ঘোষের ঝুলন্ত দেহ আবিষ্কার করে তার পরিবার। এরপর স্থানীয় থানায় খবর দেওয়া হলে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। বর্তমানে দেহটিকে পোস্টমর্টেমের জন্য পাঠানো হয়েছে। 22 বছরের এই যুবক গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের।

যুবকের পরিবার সূত্রে খবর, সঞ্জয় গ্রামের এক নাবালিকা মেয়ের প্রেমে পড়ে। এরপর তাদের প্রেম এতটাই গভীর হয়ে ওঠে যে, তারা পালিয়ে বিয়ে পর্যন্ত করে নেয়। সেই কারণে শেষপর্যন্ত যুবকটির জেল পর্যন্ত হয়। বর্তমানে নাবালিকার অন্যত্র বিয়ে হচ্ছে শুনেই সে আত্মহত্যা পথ বেছে নেয়। এই ঘটনায় নাবালিকার পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন মৃতের পরিবার।

মৃত যুবকের দাদা সুরজ ঘোষ বলেন, “সঞ্জয় ওই নাবালিকা মেয়েটিকে প্রচন্ড ভালোবাসতো। সেই কারণে তারা পালিয়ে বিয়ে পর্যন্ত করে। কিন্তু মেয়েটির পরিবার এরপর পুলিশের কাছে আমার ভাইয়ের নাম মামলা দায়ের করে। পুলিশের তদন্ত চলাকালীন সঞ্জয় আত্মসমর্পণ করে এবং প্রায় তিন মাস জেলও খাটে। তার পর জেল থেকে মুক্তি পেলেও ঘটে আরেক বিপত্তি। মেয়েটি হঠাৎ একদিন আমাদের বাড়িতে পালিয়ে আসে; এরপর পুনরায় মেয়েটির পরিবার তাকে কোনমতে জোর করে নিজেদের বাড়িতে নিয়ে চলে যায়। সম্প্রতি আমার ভাই জানতে পারে যে, নাবালিকাটির অন্যত্র বিয়ে দিচ্ছে তার পরিবার, এই খবরটি শুনে সে কোনমতে নিজেকে সামলাতে পারে না এবং শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।”


Sayan Das

সম্পর্কিত খবর