বাংলাহান্ট ডেস্ক : সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (PMO) মেইল করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) দেওয়া হল হত্যার হুমকি। আর সেই অপরাধেরই তদন্তে নেমে গুজরাটের (Gujarat) আমেদাবাদের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (STF) আমন সাক্সেনা নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। ওই যুবক বদায়ুন জেলার বাসিন্দা বলে জানা যাচ্ছে। এই মুহুর্তে তাকে জেরা করছেন এটিএস আধিকারিকরা।
গুজরাটের আমেদাবাদ এটিএস-এর দুই সদস্য শনিবার রাতে বদায়ুন পৌঁছন। এটিএস-এর ইন্সপেক্টর বিএন বাঘেলা এক সাব ইন্সপেক্টরকে সঙ্গে নিয়ে সিভিল লাইন্স থানায় পৌঁছন। পুলিস সূত্রে খবর, দুই এটিএস আধিকারিক স্থানীয় পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে রাত ১০টা নাগাদ আদর্শনগর এলাকায় পৌঁছন। সেখান থেকেই আমন সাক্সেনা নামের ওই যুবককে গ্রেফতার করেন।
জানা যাচ্ছে, আমন বাড়ির এক ছেলে। বিভিন্ন অসামাজিক কাজকর্মে অনেক আগেই জড়িয়ে পড়ে সে। তার চালচলন দেখে তার পরিবার তাক ত্যাজ্যপুত্র করে দেয়। সারাদিন বাইরে থাকলেও রাতে ঠিক বাড়ি পৌঁছে যেত আমন। আর সেই সুযোগই নেন এটিএস আধিকারিকরা। রাতে বাড়ি পৌঁছতেই গ্রেফতার হয় সে।
গ্রেফতার করে আমনকে সিভিল লাইন থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই ঘন্টা খানেক ধরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু থানার সামনে ভীড় বাড়তে দেখে আমনকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসপির আবাসনে। সেখানেই তাকে জেরা করেন এসটিএফ আধিকারিকরা। রাজ্য পুলিসের এক ইন্সপেক্টর জানান, গুজরাট থেকে এসটিএফ আধিকারিকরা এসেছেন। তাঁরা গোপনে তদন্ত চালাচ্ছেন।
আমনকে জেরা করে এসটিএফ-এর হাতে উঠে আসে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। জানা যায় এই ঘটনায় ৩ জন যুক্ত রয়েছে। গুজরাটের একটি মেয়ে এবং দিল্লির আর এক যুবকের এসটিএফ আধিকারিকদের হাতে উঠে এসেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, শুক্রবার ২ জন ব্যক্তি সাদা পোশাকে এলাকায় আসেন। তাঁরা স্থানীয় মানুষজনদের কাছে জানতে চান কোথায় কোথায় সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো আছে। তাঁরা কে ছিল তা জানেন না এলাকাবাসী। তাঁদের সন্দেহ ওই ২ ব্যাক্তি এসটিএফ-এর পাঠানো পুলিসকর্মী হতে পারে।