অধ্যাপক হলেও মন বসত না পেশায়! শেষমেশ সবকিছু ছেড়ে কুলির কাজ বেছে নিলেন শিক্ষক

বাংলা হান্ট ডেস্ক: পেশাগত ভাবে তিনি ছিলেন একজন অধ্যাপক (Professor)। কিন্তু, সেই পেশার প্রতিই ক্রমশ আস্থা হারিয়ে ফেলেন এক যুবক। আর তারপরেই তিনি নিয়ে ফেলেন এক অবাক করা সিদ্ধান্ত। মূলত, অধ্যাপনার পেশা ছেড়ে কুলির কাজকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন তিনি। হ্যাঁ, প্রথমে বিষয়টি শুনে অবিশ্বাস্য মনে হলেও এবার ঠিক এইরকমই এক ঘটনা সামনে এসেছে।

জানা গিয়েছে, এই নজিরবিহীন ঘটনাটি ঘটেছে হায়দ্রাবাদের (Hyderabad) আবদুল্লাহপুরমেটে। সেখানেই একটি বেসরকারি কলেজে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন ওই যুবক। কিন্তু, বেশ কয়েকদিন ধরেই তাঁকে অন্যমনস্ক থাকতে দেখা যেত। এমনকি, পড়াশোনার কাজেও মন বসাতে পারছিলেন না তিনি। পাশাপাশি, ওই যুবক থাকতেন কলেজেরই হোস্টেলে।

এমতাবস্থায়, গত ৭ এপ্রিল তিনি কলেজে আসার পর আর হোস্টেলে ফিরে আসেননি। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় চিন্তিত হয়ে পড়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এমনকি, ওই অধ্যাপক বাড়িতে চলে গিয়েছেন অনুমান করে তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর জানা যায় যে, তিনি বাড়িতেও উপস্থিত হন নি।

এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ওই যুবক হলেন তেলাঙ্গানার খাম্মাম জেলার বাসিন্দা। এই ঘটনা সম্পর্কে জানতে পেরে পরিবারের তরফে স্থানীয় থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়। পাশাপাশি, পরিবারের তরফে থানাকে জানানো হয় যে, এর আগেও কাউকে কিছু না জানিয়ে ওই অধ্যাপক বাড়ি থেকে চলে গিয়েছিলেন। শেষমেশ সন্ধানের পর তাঁকে একটি বাজারে কুলির কাজ করতে দেখা গিয়েছিল।

এদিকে, এহেন তথ্য পেয়ে ওই যুবকের সন্ধান পাওয়া অনেকটাই সহজ হয়ে যায় পুলিশের কাছে। মূলত, হায়দ্রাবাদের আবদুল্লাহপুরমেটের একটি স্থানীয় বাজারে পুলিশের দল নজরদারি চালাতে শুরু করার পরই ওই অধ্যাপকের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলে জানান আবদুল্লাহপুরমেট থানার পুলিশ আধিকারিক সুনীল কুমার।

railway porter in red uniform outside varanasi junction station

এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, গত মঙ্গলবার সকালে ওই তরুণ অধ্যাপককে বাজারের একটি ফলের দোকানে কুলির কাজ করতে দেখা যায়। আর তারপরেই তাঁকে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পরে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়। এদিকে, স্বাভাবিকভাবেই উচ্চশিক্ষিত হওয়া সত্বেও ওই যুবক যেভাবে ফলের দোকানে কুলির কাজ করছিলেন তা জানতে পেরে অবাক হয়ে যান ওই বাজার সংলগ্ন দোকানের মানুষজন। এমতাবস্থায়, পুলিশের অনুমান হয়তো ওই যুবকের মানসিক বিকৃতি ঘটেছে। আর সেই কারণেই তিনি বারংবার এই কাজ করতে যাচ্ছেন। তাই, তাঁর কাউন্সেলিংয়ের প্রয়োজন আছে বলেও মনে করছেন তাঁরা।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর