বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ চলতি বছরে ভারতের মাটিতে আয়োজিত হবে ওডিআই বিশ্বকাপ। ২০১১ সাল থেকেই আয়োজক দেশ ওডিআই বিশ্বকাপ জিতে চলেছে। এই বছরও সেই ট্রেন্ড বজায় থাকবে কিনা তার উত্তর আর কয়েক মাসের মধ্যেই পাওয়া যাবে। তবে আজকে প্রতিবেদনের বিষয়টা সম্পূর্ণ অন্য।
খুব বিপত্তি না উঠলে কোনও দেশই বিশ্বকাপের ঠিক আগে নতুন করে অধিনায়ক নির্বাচন করে না। তাকে বেশ কিছুটা আলাদা করে সময় দেওয়া হয়। দুই বা তিন বছর ধরে তার দল যাতে তার অধিনায়কত্বের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে এইজন্য অনেক আগেই পরিকল্পনা করে এই বিষয়গুলি নির্বাচিত করা হয়। তা সত্ত্বেও বহু অধিনায়ক দীর্ঘদিন দেশের অধিনায়কত্ব করার পরেও ট্রফি জয়ের স্বাদ পান না। আবার অত্যন্ত কম বয়সে অনেকে দেশকে বিশ্বকাপ জিতিয়ে দেন নেতৃত্ব গুনে। তোমাদের আজকের এই প্রতিবেদন সেই অধিনায়কদের নিয়েই যারা অত্যন্ত কম বয়সে দেশকে বিশ্বকাপ জেতাতে পেরেছেন।
● ক্লাইভ লয়েড (ওয়েস্ট ইন্ডিজ): ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার স্বর্ণযুগের প্রজন্মকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ক্লাইভ। নিজের ক্রিকেটীয় দক্ষতার চেয়েও নেতৃত্বের দক্ষতার জন্য বেশি পরিচিত তিনি ক্রিকেট বিশ্বে। নিজের নেতৃত্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তিনি দুইবার ওডিআই বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন। ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের ইতিহাসে একমাত্র অধিনায়ক হিসেবে ওডিআই বিশ্বকাপ ঘরে তোলার কৃতিত্ব রয়েছে তার নামের পাশে। ৩০ বছর ২৯৪ দিন বয়সে তিনি দেশের হয়ে বিশ্বকাপ জিতেছিলেন।
● মহেন্দ্র সিংহ ধোনি (ভারত): ভারত তথা বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে সফলতম অধিনায়কদের মধ্যে একজন। তার নেতৃত্বে ভারতীয় দল সমস্ত ট্রফি জিতেছে। কিন্তু অধিনায়ক হিসেবে তার সবচেয়ে বড় সাফল্য ধরা হবে ২০১১ ওডিআই বিশ্বকাপ জয়কে। ২৮ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটে প্রথম দল হিসেবে ভারতকে দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ জয় করানোর কৃতিত্ব তিনি অর্জন করেছিলেন মাত্র ২৯ বছর ২৬৯ দিন বয়সে।
● রিকি পন্টিং (অস্ট্রেলিয়া): অস্ট্রেলিয়া তথা বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক। বিশ্ব ক্রিকেটে দ্বিতীয় অধিনায়ক যিনি দুটি বিশ্বকাপ জেতাতে পেরেছেন দেশকে। নিজের সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে পারফরম্যান্স করে দেশকে জিতিয়েছেন বিশ্বকাপ। ২০০৩ সালে দেশকে প্রথম বিশ্বকাপ জেতানোর সময় পন্টিংয়ের বয়স ছিল ২৮ বছর ৯৪ দিন।
● কপিল দেব (ভারত): ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাস নতুন করে লিখেছে কপিল ও তার নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল। একজন দাপুটে নেতা হিসেবে কপিলই ছিলেন ভারতীয় দলের সেরা খেলোয়াড় যখন ভারত নিজেদের প্রথম ওডিআই বিশ্বকাপ জেতে। ১৯৮৩ সালের ওই ঐতিহাসিক বিশ্বকাপ জয়ের সময় কপিলের বয়স ছিল ২৪ বছর ১৭০ দিন।