বাংলাহান্ট ডেস্ক : কথায় আছে,’everything is fair in love and war’। যুগ যুগ ধরে এই প্রবাদ বাক্যটি সত্যি করে চলেছেন প্রেমিক-প্রেমিকারা। প্রেম কে সম্বল করে তৈরি হয়েছে সাহিত্য রচিত হয়েছে গান। যুগ যুগ ধরে প্রেমিক-প্রেমিকাদের ভালোবাসার নৌকায় পাল তুলে ধরেছে লায়লা মজনু, রোমিও জুলিয়েট থেকে হীর রানঝা।
এবার অনেকটা সেই পথই অনুসরণ করলেন মেদিনীপুরের এক যুবক। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মেয়ের সাথে পরিচয় হয় ওই যুবকটির। সেখান থেকে বন্ধুত্ব, আর তা থেকেই প্রেম। তাও মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে। এবার প্রেমিকাকে সামনে থেকে দেখার জন্য মেদিনীপুর থেকে সোজা চলে আসেন মুর্শিদাবাদ। প্রেমিকা যে গার্লস হোস্টেলে থাকেন সেখানে একটি বোরখা পরে ঢুকেও পড়েন। কিন্তু বিধিবাম। যুবকটির পরিহিত জুতো সামনে এনে দেয় তার আসল পরিচয়। তারপর তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে হোষ্টেল কর্তৃপক্ষ। শুরু হয় উত্তমমধ্যম চড়-থাপ্পড়। বহরমপুর থানার পুলিশ এসে উদ্ধার করে নিয়ে যায় যুবকটিকে।
মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের গোরাবাজারের বাসিন্দা সাগির জিয়ার গার্লস হস্টেলেই থাকতেন তরুণী। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, শুক্রবার বোরখা পরে একজন হোস্টেল পথে আসেন। হোষ্টেল কর্তৃপক্ষ তাকে মহিলা ভেবে ভিতরে যাওয়ার অনুমতি দেন। ঘরে ঢোকার আগে তিনি তার জুতো খুলে রাখেন। তারপরই সেই জুতো দেখে সন্দেহ হয় সবার। জুতো দেখে সবাই বুঝতে পেরে যান যে উনি একজন পুরুষ। তারপর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তাকে মারধর শুরু করে। খবর দেওয়া হয় বহরমপুর থানায়। তারপর পুলিশ এসে যুবককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
গত ২ রা মে বহরমপুর এর এক যুবকের আক্রমণ হোস্টেলবাসী এক তরুণীর প্রাণ যায়। এরপর মহিলা হোস্টেল গুলিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। তা সত্ত্বেও কিভাবে এই ঘটনা ঘটলো তা নিয়ে ভাবাচ্ছে পুলিশ প্রশাসনকে।