বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অভিষেক ব্যানার্জি (Abhishek Banerjee ) ত্রিপুরায় পা রাখার সাথে সাথেই তাকে ঘিরে শুরু হয় গো ব্যাক স্লোগান। পথে যাবার সময় ভাঙচুর চালানো হয় তার গাড়িতেও। অভিযোগের তীর ছিল বিজেপি কর্মীদের দিকে। ঐদিন অভিষেক ভিডিও পোস্ট করেন তাতেও দেখা গিয়েছিল বিক্ষোভকারীদের হাতে রয়েছে বিজেপির পতাকা। কার্যত এই ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটলো জলপাইগুড়িতে। এবার অভিযোগের তীর যুব তৃনমূলের দিকে।
জানা গিয়েছে, অভিষেকের সঙ্গে ঘটা ঘটনার পরেই সোমবার সন্ধ্যেবেলা বিজেপি পার্টি অফিসের সামনে একপ্রস্থ বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতারা। ফের আজ সকালে যুব তৃনমূলের পক্ষ থেকে নেওয়া হয় প্রতিবাদ কর্মসূচি। জলপাইগুড়ি জেলার বিজেপি পার্টি অফিসের সামনে পড়ানো হয় ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব (Biplab Deb) এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) কুশপুত্তলিকা। একইসঙ্গে বিজেপি (BJP) অভিযোগ করেছে তাদের পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালায় যুব তৃণমূল নেতারা। যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে যুব তৃণমূল।
জলপাইগুড়ির বিজেপি নেতা শ্যাম প্রসাদ এক্ষেত্রে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তৃণমূল নেতা সৈকত চ্যাটার্জীর বিরুদ্ধে। তার দাবি, ” তৃণমূলের দলটা গুন্ডাদের দল, তাদের হচ্ছে ক্রিমিনালের দল। তৃণমূলের গুন্ডারা ভাঙচুর করবে এর মধ্যে নতুন কিছু নেই। এরা বরাবরই যখন কিছু হবে জলপাইগুড়ি বিজেপি পার্টি অফিসের সামনে এসে চিল্লাবে এবং পার্টি অফিস ভাঙচুর করার চেষ্টা করবে। তাদের কালচার এটা। তাদের নেত্রী শিখিয়েছে বিধানসভা ভাঙচুর করে কি করে ক্ষমতায় আসতে হয়। তাই তৃণমূলের যুব নেতারা ভাঙচুর করছে, জেলা সভাপতির দৌড়ে এগিয়ে যাবার চেষ্টা করছেন সৈকত বাবু। তিনি কিছু ভাড়া করা গুন্ডা নিয়ে এসেছেন। তিনি নিজে পার্টি অফিসের ভিতরে ঢুকে ভাঙচুর করেছেন।” তিনি এও দাবি করেন, জলপাইগুড়িতে তৃণমূলের পা থেকে মাটি সরে যাচ্ছে। সেই কারণেই এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে নেতারা। তিনি বলেন পৌরসভা ভোটে জিতবেন তারাই।
অন্যদিকে এই ঘটনা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতা সৈকত চ্যাটার্জী। তিনি বলেন, “আজ জলপাইগুড়ি যুব কংগ্রেস তাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আক্রমণের প্রতিবাদে বিজেপি কার্যালয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি করল। ওখান থেকে দু-চারজন উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলেছিল আমাদের। আমাদের কর্মীরা এগিয়ে গিয়েছিল, আমি তাদের শান্ত করি। বিজেপির সেন্ট্রাল কার্যালয়, আজকে আমরা হাজার হাজার যুবক যুবতী মিলে ঘিরে দিয়ে প্রমাণ করে দিলাম জলপাইগুড়ি জেলার বিজেপির জায়গা নেই।”
তিনি এও দাবি করেন ২০২৩ সালে জলপাইগুড়ির বুকে বিজেপির অস্তিত্ব থাকবে না। ২৪ এর লোকসভায় অস্তিত্ব থাকবেনা মোদি শাহের।