পুজো মণ্ডপে নিষিদ্ধ ‘ইউটিউবার’, বিজ্ঞপ্তি ভাইরাল হতেই শুরু বিতর্ক! অবশেষে মুখ খুলল কর্তৃপক্ষ

বাংলাহান্ট ডেস্ক : পূর্বাচল শক্তি সংঘের পুজো মণ্ডপের বাইরে একটি নির্দেশিকাকে ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে বিতর্কের। কলকাতার অন্যতম বিখ্যাত এই পুজো মণ্ডপের বাইরে লেখা  ‘ইউটিউবারদের প্রবেশ নিষেধ!’ এহেন নির্দেশিকার পর  সমাজমাধ্যমে রীতিমত সৃষ্টি হয়েছে চাপানউতোর। পুজো কমিটির এই বিজ্ঞপ্তির ছবিটি সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

এরপর পক্ষে বিপক্ষে একাধিক মন্তব্য উঠে আসে। তবে বিষয়টা ঠিক কী? এই ব্যাপারে কী বলছে পুজো কমিটি? পূর্বাচল শক্তি সংঘের পুজো মণ্ডপের বাইরে দর্শনার্থীরা দেখতে পান একটি নির্দেশিকা। সেই নির্দেশিকায় স্পষ্ট ভাষায় লেখা রয়েছে,  ‘ইউটিউবারদের প্রবেশ নিষেধ!’ এরপর কেউ কেউ মোবাইল ফোনে এই নির্দেশিকার ছবি তুলে পোস্ট করেন সমাজ মাধ্যমে।

অনেকেই পক্ষে-বিপক্ষে মতামত জানাতে থাকেন। কিছু মানুষের বক্তব্য, কেন ইউটিউবারদের বাধা দেওয়া হচ্ছে পুজো মণ্ডপে প্রবেশের ক্ষেত্রে? তারাও তো অন্যান্যদের মত একজন দর্শনার্থী। আবার অনেকে বলছেন যে উঠতি ইউটিউবারদের জ্বালায় অনেকেই অতিষ্ট। তাই পুজো কমিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ঠিকই করেছে।

আরোও পড়ুন : ‘একবার পাকিস্তানে পা তো রাখুন, তারপর দেখবেন….’, ভারতের উদ্দেশ্যে মন্তব্য আফ্রিদির

পুজো উদ্যোক্তারা বলছেন, যখন মন্ডপের কাজ চলছিল তখন অনেক ইউটিউবার এসে ছবি, ভিডিও তোলার চেষ্টা করছিলেন। মন্ডপের কাজ শেষ হওয়ার আগে কেউই চাইবেন না থিমের ব্যাপারটা প্রকাশ্যে আসুক। যাতে মণ্ডপের কাজ ভালোভাবে সম্পন্ন করা যায় তাই বাধ্য হয়ে কর্মকর্তারা এই সাইনবোর্ড লাগাতে বাধ্য হয়েছেন। তবে পুজো উদ্বোধন হয়ে যাওয়ার পর সরিয়ে নেওয়া হয়েছে সেটি। 

youtube earn

‘সর্বজনের দুর্গাপুজো’ এবারের থিম পূর্বাচল শক্তি সংঘের। এবার পূর্বাচল শক্তি সংঘের পুজোয় স্থান পেয়েছে লেখক অসিত পালের লেখা গবেষণা ভিত্তিক বইয়ের তথ্য কথা। গোটা মন্ডপ মূলত সাজিয়ে তোলা হয়েছে পট শিল্প দিয়ে। মাটির তৈরি একাধিক শিল্পকলা মন্ডপের বিভিন্ন প্রান্তে ঠাঁই পেয়েছে। অসম্ভব সুন্দর কারুকার্যের মাধ্যমে এই থিমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সমাজের বিভিন্ন শ্রমজীবী মানুষের জীবন।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর