বাংলা হান্ট ডেস্ক: আগামী দুবছরের মধ্যে আরও ৩০০ টি আন্তর্জাতিক সংস্থা ভারতে তাদের নিজস্ব স্টোর খুলবে। ভারতীয় পোশাক বাজারের টাকার অঙ্ক আরও বৃদ্ধির মুখ দেখবে। জানা যাচ্ছে ভারতের মাথাপিছু আয় এখনও উন্নত দেশগুলির কাছাকাছি পৌঁছতে না পারলেও শ্যানেল-হার্মেস-গুচি-কার্তিয়ের-বারবেরির মতো বিশ্বের প্রথম সারির ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলির প্রায় সবাই এখন ভারতে। ম্যাকিঞ্জে ফ্যাশনস্কোপের সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের পোশাক বাজার আগামী ৩ বছরে ৪.১২ লক্ষ কোটি টাকার অবিশ্বাস্য অঙ্কে পৌঁছবে।
প্রসঙ্গত ২০১৮ সালে ভারতে মাত্র এক-চতুর্থাংশ পরিবারের বার্ষিক আয় ৬ লক্ষ টাকা বা তার বেশি। সেখানে জারার মতো অত্যন্ত দামি পণ্য।টাটার তরফ থেকে বিশ্বের বাজারে ট্রেন্ড বুঝে সপ্তাহ দু’য়েক পরপর হাল ফ্যাশানের নতুন পণ্য আনা হবে, কিন্তু যার কোনওটিরই দাম ১,১০০ টাকার বেশি হবে না — ‘জারা’র দামের অর্ধেকেরও কম দামে।
এইজন্য আগামী কয়েক বছরে দেশজুড়ে থাকা টাটা গোষ্ঠীর ফ্ল্যাগশিপ স্টোর ‘ওয়েস্টসাইড’-এ বছরপ্রতি ৪০টি করে ‘ট্রেন্ট’-এর আউটলেট খোলা হবে। পাশাপাশি আমজনতার কথা মাথায় রেখে খোলা হচ্ছে শতাধিক জুডিও স্টোরও।এবং ‘ট্রেন্ট’-এর বিজনেস মডেলের ভিত্তি তৈরি করেছি আমরা। এখনও এই মডেল কাজ করছে দেখে আগামী দিনে তাকে সম্প্রসারিত করার পরিকল্পনা করেছি আমরা।’ যার আর্থিক সংস্থান করতে শেয়ার ইস্যু করে ৯৫০ কোটি টাকা তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রেন্ট কর্তৃপক্ষ। এই ব্যাপারে শেয়ারহোল্ডারদের মতামতও চাওয়া হয়েছে।
আরো জানা গেছে বিক্রি দেখে ৪০-৬০ দিনের মধ্যে দেশের সর্বত্র ওই পোশাক পৌঁছে দেওয়া হবে। পোশাকের সম্ভারে বৈচিত্র্য আনতে একাধিক নতুন কর্মীকেও নিয়োগ করা হতে চলেছে ট্রেন্ট। ওই কর্মীদের কাজ হবে বিশ্ববাজারে ট্রেন্ডের উপর নজর