বাংলা হান্ট ডেস্ক : জি বাংলার অন্যতম চর্চিত ধারাবাহিক হল ইচ্ছে পুতুল। শুরুর দিকটা ধিমেতালে চললেও বর্তমানে রীতিমত ঝড় তুলেছে এই মেগা। নায়ক নায়িকা আলাদা হয়ে গেলেও ভিলেইনের পর্দা ফাঁস হওয়ার মধ্যে যেন এক আলাদাই মজা আছে। আর এখানেও ঠিক সেটাই হচ্ছে। গিনির বিয়ের পর থেকেই অন্য মাত্রায় পৌঁছে গেছে এই সিরিয়ালের ক্রেজ।
দর্শকরা সকলেই এখন চাইছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রূপ আর ময়ূরীর পর্দা ফাঁস হোক। এসবের মধ্যেই একটা বিতর্ক তৈরি হয়েছে ধারাবাহিকে গিনি এবং রূপের ফুলশয্যার দৃশ্যকে ঘিরে। এর আগেও রূপ গিনির সাথে টুকটাক খারাপ ব্যবহার করলেও সেটা শারিরীক পর্যায়ে পৌঁছায়নি। তবে এবার সেটা সমস্ত সীমা পার করে গেছে।
সাম্প্রতিক পর্বে দেখানো হয়েছে, ফুলশয্যার রাতে রূপ গিনিকে একপ্রকার ধর্ষণই করেছে। পাশাপাশি গায়েও হাত তুলেছে এইদিন। এখানেই শেষ নয়, এরপর গিনির সমস্ত গয়না নিয়ে চলে যায় সে। গিনি বাধা দিতে গেলে রূপ জানায়, এটা নাকি তাদের পরিবারের নিয়ম। বাড়ির বৌয়ের সমস্ত গয়না তার শাশুড়ির কাছে থাকে। আর তাই সে এইসমস্ত গয়না নিয়ে যাচ্ছে।
গিনি জানায়, এইরকম কোনো নিয়ম থাকলে রূপের বাবা নিশ্চয় তাকে জানাতো। তাই সে আঙ্কেলকে জিজ্ঞেস না করে কিছুতেই গয়না দেবেনা বলে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ থাকে। আর এটা বলাতেই গিনির গলা চেপে ধরে রূপ। সে স্পষ্টই জানিয়ে দেয় যে, এই সমস্ত গয়না এবার থেকে তার কাছেই থাকবে। গিনি বাধা দিতে গেলে তাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয় রূপ।
আরও পড়ুন : ৪১ দিন উপবাস, ভগবানকে তুষ্ট করতে খালি পায়ে হাঁটছেন কোটিপতি রামচরণ! জানুন কারণ
সবে মিলিয়ে বিয়ের প্রথম রজনীতেই গিনি বুঝতে পেরে গেছে রূপ আসলে কেমন মানুষ। তবে এই পর্ব নিয়ে আপত্তিও জানিয়েছেন অনেকে। দর্শকদের একাংশ মনে করছেন, পারিবারিক ধারাবাহিকে এধরণের দৃশ্য দেখানো উচিত নয়। আবার কেউ কেউ বলছে, এমন কিছু অশ্লীলতা দেখানো হয়নি। তবে বিতর্ক যাই হোক না কেন, সিরিয়াল হয়ত এখানেই বন্ধ হবেনা। কারণ এই মেগা বন্ধ করে দিলে জি-কে বেশ ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।